বিজ্ঞাপন

কমেছে রফতানি আয়, প্রবৃদ্ধি বেড়েছে পাটে

December 5, 2019 | 5:45 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা কয়েক মাস ধরে রফতানি আয়ে হোঁচট খেয়ে আসছে বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) পঞ্চম মাসেও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি বেড়েছে। এই সময়ে সার্বিক লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম হলেও পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি ছিল লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি।

বিজ্ঞাপন

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম। তবে নভেম্বর শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ৪০ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেশি। প্রবৃদ্ধিও গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসম্বের) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে পারেনি দেশের তৈরি পোশাক খাত। নভেম্বরসহ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ১ হাজার ৩০৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। অথচ আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই খাতের রফতানি আয় ছিল ১ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ কম। একইসঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কম ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

ইপিবির তথ্য থেকে দেখা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৮০৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু এ সময়ে আয় হয়েছে ১ হাজার ৫৭৭ কোটি ৭০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২.৫৯ শতাংশ কম। এবং এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৭.৫৯ শতাংশ কম।

অন্যদিকে, একক মাস হিসবে নভেম্বরের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৭২ কোটি ২০ লাখ ডলার। মাসটিতে আয় হয়েছে ৩০৫ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি আয় কম হয়েছে ১৭.৯০ শতাংশ। গত অর্থবছরের নভেম্বর রফতানি আয় ছিল ৩৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের চেয়ে রফতানি আয় কমেছে ১০.৭০ শতাংশ।

জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৫১৫ কোটি ডলার। এই সময় আয় হয়েছে ১ হাজার ৩০৮ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৩.৬৩ শতাংশ কম। আর গেল অর্থবছরের চেয়ে এই সময়ে আয় কম হয়েছে ৭.৭৪ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

নিটওয়্যার রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৪৭ কোটি ডলার, আয় হয়েছে ৬৮০ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮.৯৪ শতাংশ কম। নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি কম হয়েছে ৬.৭৯ শতাংশ। ওভেনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৬৭ কোটি ডলার, রফতানি হয়েছে ৬২৭ কোটি ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৮ শতাংশ কম। ওভেন রফতানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে ৮.৭৪ শতাংশ। হোম টেক্সটাইলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি কম হয়েছে ১৫ শতাংশ এবং গত বছরের চলতি বছরের এই সময়ে রফতানি কম হয়েছে ১২ শতাংশ।

কৃষিপণ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ০.৪৫ শতাংশ রফতানি কম হয়েছে। গেল অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি অর্থবছরে রফতানি কম হয়েছে ২.৬৯ শতাংশ। প্লাস্টিক পণ্য রফতানির প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে রফতানি কমেছে ১৭.৮৫ শতাংশ। পাঁচ মাসে এ খাতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার।

অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রফতানির লক্ষ্যমাত্রাও পূরণ হয়নি। কমেছে প্রবৃদ্ধিও। পাঁচ মাসে চামড়াজাত খাত থেকে রফতানি আয় এসেছে ৩৯ কোটি ১০ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯.৮ শতাংশ কম। প্রবৃদ্ধিও কমেছে ১০.০৩ শতাংশ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন