বিজ্ঞাপন

হায়দারাবাদে ধর্ষণের পর হত্যা: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

December 6, 2019 | 10:58 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের তেলেঙ্গানা প্রদেশের হায়দারাবাদে এক নারী ভেটেরিনারিয়ানকে (পশু চিকিৎসক) ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত চার আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ওই চার আসামি পুলিশের হেফাজতেই ছিল। তথ্য উদ্ধারের জন্য তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ‍পুলিশের দাবি, তাদের কাছ থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালাতে চেয়েছিল আসামিরা। পরে পুলিশ গুলি ছুঁড়লে মৃত্যু হয় তাদের।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির খবরে বলা হয়, শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে ওই চার আসামিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। গত ২৮ নভেম্বর ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। প্রতিবাদে মুখর ছিল হায়দারাবাদ।

শুক্রবার পুলিশের গুলিতে নিহতরা হলেন— মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব ও চেন্নাকসভুলু।

সায়দারাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজ্জানার বিবিসিকে বলেন, কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছিল, তা জানতে পুলিশ চার আসামিকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়েছিল। এসময় আসামিরা পুলিশের বন্দুক ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। তাদের আক্রমণে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

‘বন্দুকযুদ্ধে’ চার জনের মৃত্যুর খবরে অবশ্য ‘উল্লাস’ ছড়িয়েছে হায়দারাবাদসহ গোটা ভারতে। ফেসবুক, টুইটারের মতো মাধ্যমগুলোতে অনেকেই এ ঘটনাকে ‘ন্যায় বিচার’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।

ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ওই তরুণীর পরিবারও এতে সন্তোষ জানিয়েছেন। ২০১২ সালে দিল্লিতে এক নারী শিক্ষার্থী গণধর্ষণের শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। ওই মেয়ের মা-ও এ ঘটনাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, ‘এই শাস্তিতে আমি খুবই খুশি। পুলিশ খুব চমৎকার কাজ করেছে।’

এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর রাতে কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে চার ট্রাকচালক ও ক্লিনার মিলে ওই তরুণীকে কৌশলে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করেন। পরদিন সকালে তার আগুনে পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ জানায়, ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় একটি টোল প্লাজায় ওই তরুণীকে স্কুটি নিয়ে দাঁড়ানো অবস্থায় দেখতে পায় ওই চার তরুণ। মেয়েটি স্কুটি রেখে একটু সামনে গেলে তারা স্কুটির টায়ার পাংচার করে দেয়। পরে স্কুটি ঠিক করে দেওয়ার নামে পাশের ফাঁকা একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েটিকে। সেখানে পানীয়তে মদ মিশিয়ে জোর করে পান করিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। পরে স্কুটির জ্বালানি দিয়েই তার শরীর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন