বিজ্ঞাপন

পেঁয়াজের বিকল্প পেঁয়াজ পাতা

December 6, 2019 | 12:49 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ক্রেতাদের কাছে পেঁয়াজের চেয়ে পেঁয়াজ পাতার কদরই এখন সবচেয়ে বেশি। কারণ পেঁয়াজ পাতার সঙ্গে মিলছে পেঁয়াজও। আর দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় ক্রেতারা পেঁয়াজের বিকল্প হিসেবে পেঁয়াজ পাতাকেই বেছে নিচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বসুন্ধরা, বাড্ডা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৭০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিলো ২৫০ টাকা। মিশরীয় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৩০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ১৫০ টাকা। চায়না পেঁয়াজ কেজি ১১০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিলো ১২০-১২৫টাকা। আর মিয়ানমারের পেঁয়াজ ২০০ টাকা যা গত সপ্তাহে দাম একই ছিলো।

বিজ্ঞাপন

বাজারের এই অবস্থায় দেশি নতুন পেঁয়াজের দাম কম। পেঁয়াজ পাতা ১ আঁটি (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। সেই হিসেবে ৪ আঁটির দাম পড়ে ৮০ টাকা (১ কেজি)। যেখানে ক্রেতারা পেঁয়াজ পাতার সাথে পেঁয়াজও পাচ্ছেন।

পেঁয়াজ পাতা কেমন বিক্রি হচ্ছে জানতে চাইলে বাড্ডা কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী শাহীদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, গতকাল ৫০ কেজি পেঁয়াজ পাতা বিক্রি করেছেন। আজ তার দ্বিগুণ পেঁয়াজ পাতা এনেছেন। সকাল থেকে পেঁয়াজের চেয়ে ক্রেতারা পেঁয়াজ পাতা বেশি কিনছেন। আর দাম গতকাল যা ছিলো আজও পেঁয়াজ পাতার দাম একই আছে। সামনে পেঁয়াজ পাতার দাম আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।

পেঁয়াজ রেখে পেঁয়াজ পাতা কিনলেন কেন এমন প্রশ্ন করা হলে বাড্ডা কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা সরকারি চাকুরিজীবী হুমায়রা হাসান সারাবাংলাকে বলেন, পেঁয়াজের দাম পেঁয়াজ পাতার চেয়ে দ্বিগুন। আর পেঁয়াজ পাতা দিয়েও রান্না করা যায়। এমনকি পেঁয়াজ পাতার নিচের অংশে পেঁয়াজও রয়েছে। ১ কেজি পেঁয়াজ পাতা কিনলে ৩-৪শ গ্রাম পেঁয়াজ পাওয়া যায়। তাই পেঁয়াজের চেয়ে পেঁয়াজ পাতা বেশি ভাল। এজন্য পেঁয়াজ রেখে পেঁয়াজ পাতা কেনা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, বাজার ঘুরে দেখা গেছে শীতকালীন সবজির সমাহার বেশি। আর দামও আগের মতোই। লাল শাক ১ আঁটি ১০ টাকা, বেগুণ ( সাদা ও লাল) কেজি ৫০ টাকা, প্রতি পিছ বাঁধাকপি ৪০ টাকা, পেঁপে পিছ ৩০ টাকা, বরবটির কেজি ৭০ টাকা, পটলের কেজি ৬০ টাকা, পেঁয়াজের কালি কেজি ১০০ টাকা, লাউয়ের পিছ ৫০ টাকা, টমেটোর কেজি ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ১ পিছ (ছোট) ৫০ টাকা, ফুলকপি ১ পিছ ৪০ টাকা, মরিচের কেজি ৮০ টাকা, করলার কেজি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, ছিম ৩৫-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, পুঁইশাক ১ আঁটি ২০ টাকা, রসুন চায়না ১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১৮০ টাকা, আদা চায়না ১৬০ টাকা, দেশি আদা ১২০ টাকা ও নতুন আলু কেজিতে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ (মাঝারি) কেজি ১০০ টাকা, কই মাছ কেজি ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া কেজি ১২০ টাকা, পাঙ্গাস কেজি ১৩০ টাকা, বাইনমাছ কেজি ৫০০ টাকা, শিং মাছ কেজি ৪০০ টাকা, চিংড়ী মাছ ( ছোট) কেজি ৫৫০ টাকা ও সিলভার কার্প কেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজার গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।

শুক্রবার গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২০ টাকা ও দেশি মুরগীর কেজি ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসজে/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন