বিজ্ঞাপন

‘বাংলার ছাত্রী, আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এতদিন মাথায় আসেনি’

December 7, 2019 | 2:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলার ছাত্রী, আইন না পড়ায় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্ব এতদিন মাথায় আসেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রধান বিচারপতির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শিগগিরি স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন-২০১৯’ র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধান বিচারপতি একটি আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলেছেন। আসলে এই ধারণাটা আমাদের কখনো চিন্তায় আসেনি বা কেউ বলেনওনি। আমি তো আর আইনও পড়িনি নি। আমি নিরেট বাংলার ছাত্রী, একেবারে সাদামাটা বাংলার ছাত্রী।’

‘আমি মনে করি যে, এটা অত্যন্ত উত্তম একটা প্রস্তাব, এটা হওয়া একান্তভাবে প্রয়োজন। প্রস্তাব নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাপ করে খুব দ্রুত যাতে হয়, সেই ব্যবস্থা করে দেব। পৃথিবীর সব দেশে আছে, আমাদের দেশে কেন থাকবে না।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সভাপতির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন দেশে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করেন। তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মত আইন শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে একটি স্বতন্ত্র আইন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবি।

সবাই যেন ন্যায়বিচার ও আইনের আশ্রয় পায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধান বিচারপতির দাবির প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যাই হোক, প্রস্তাবটা আমার খুবই ভাল লেগেছে। আমাদের অনেকগুলি আইন বিষয়ক কলেজ আছে। কিন্তু কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নাই। এরইমধ্যে আমরা বহুমুখি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিচ্ছি, ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি, টেক্সাইল বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। ফ্যাশন ডিজাইন বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। এরকম অনেক করেছি। কিন্তু এটা কিন্তু একটা নতুন প্রস্তাব।’

বিজ্ঞাপন

বিচারকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবসময় চিন্তিতই থাকি যে, আপনারা যারা বিভিন্ন সন্ত্রাসী বা অপরাধীদের বিচার করেন, রায় দেন। তাদের নিরাপত্তা দেখা থাকার ভাল ব্যবস্থা করা, আপনাদের যাতায়াতের সুব্যবস্থা করা এটা অবশ্যই সরকারের কর্তব্য। কাজেই এর জন্য যা করণীয়, সেটা অবশ্যই আমরা করবো।’

এছাড়া, প্রধান বিচারপতি তার বক্তব্যে বিচারকদের বিভিন্ন সমস্যা ও সংকট দূরীকরণে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিচার বিভাগের সমস্যা সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত। এর সমাধানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত থাকবে এবং দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সরকার পর্যায়ক্রমিক বিচারক সংখ্যা দ্বিগুণ করবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।

‘এটা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক যে, সরকারের নতুন উদ্যোগে নতুন আদালত ভবন নির্মাণ জনবল নিয়োগ, যানবাহন, আসবাবপত্র, আইটি সরঞ্জাম সরবরাহ, নতুন বিচারক নিয়োগ এবং বিচারকদের নিরাপত্তা বিধান ইত্যাদি কার্যক্রমে বিচার বিভাগে একটি উন্নত কর্মপরিবেশ তৈরি হয়েছে।’ যোগ করেন প্রধান বিচারপতি।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম সারওয়ার

বিজ্ঞাপন

মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা বেগম এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর। এছাড়াও জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলন উপলক্ষ্যে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সারাবাংলা/এনআর/জেএএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন