বিজ্ঞাপন

প্রশস্ত হচ্ছে রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা মহাসড়ক, খরচ ২৬৬ কোটি টাকা

December 10, 2019 | 7:11 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রশস্ত করা হচ্ছে কক্সবাজারের রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক। এ জন্য ‘কক্সবাজার জেলার রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ নামে প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এই মহাসড়কটি অন্যান্য জাতীয় মহাসড়কের সমমান প্রশস্ততায় উন্নীত হবে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় সড়ক যোগাযোগও আগের চেয়ে নিরাপদ হবে। প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে ২৬৬ কোটি ১৬ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন

পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর এরই মধ্যে প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ করেছে পরিকল্পনা কমিশন। আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটি উপস্থাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কক্সবাজার বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন নগরী। প্রতিবছর দেশে-বিদেশের লাখ লাখ পর্যটক পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। রামু-ফতেখাঁরকুল-মরিচ্যা জাতীয় মহাসড়কটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কের রামু চৌমুহনি হতে ফতেখাঁরকুল হয়ে মরিচ্যা নামক স্থানে জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। সড়ক দু’টির দৈর্ঘ্য ১৬ দশমিক ৭২ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৩ দশমিক ৭ মিটার। এর মধ্যে জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য ১৪ দশমিক ২১৬ কিলোমিটার। সড়কটির পাশে অষ্টম কিলোমিটারে রামু সেনানিবাস এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ক্যাম্প অবস্থিত। তাছাড়া সেনাবাহিনীর ভারী যানবাহনসহ প্রচুর মানুষ ও অন্যান্য যানবাহন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। সড়কের গুরুত্ব অনুধাবন করে সড়কটি জাতীয় মহাসড়কের গেজেটভুক্ত করা হলেও সড়কটি এখন জেলা মহাসড়ক মানে রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে রামু থেকে মরিচ্যা পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৭২৬ কিলোমিটার মহাসড়ক যথাযথ মান ও উভয় পাশে ১ দশমিক ৫ মিটার হার্ডশোল্ডার ৭ দশমিক ৩ মিটার প্রশস্তে উন্নীতকরণের জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে মোট ২৬৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২২ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে প্রকল্পটি।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের মূল কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে— ভূমি অধিগ্রহণ, সড়ক বাঁধে মাটির কাজ, বিদ্যমান পেভমেন্ট প্রশস্তকরণ ও মজবুতিকরণ, সার্ফেসিং, বাস বে ও ট্রাক বে নির্মাণ, পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভার্ট, আরসিসি সসার ড্রেন, সিসি ব্লক উইথ জিও-টেক্সটাইল এবং টো-ওয়াল নির্মাণ।

প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য শামীমা নার্গিস সারাবাংলাকে বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কক্সবাজার জেলার রামু ও সদর উপজেলার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। পাশাপাশি প্রকল্প এলাকার জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থাতেও ইতিবাচক প্রভাব রাখবে এই মহাসড়ক। সে কারণে প্রকল্পটি অনুমোদনযোগ্য।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন