বিজ্ঞাপন

কেরাণীগঞ্জে দগ্ধ একজনের মৃত্যু, আগুন নিয়ন্ত্রণে

December 11, 2019 | 7:45 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর কেরাণীগঞ্জের চুনকুঠিয়ায় প্লাস্টিক কারখানায় আগুনের ঘটনায় একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আগুনে দগ্ধ হয়ে কমপক্ষে ৩৩ জন ভর্তি আছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে। আগুন লাগার প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টায় আগুন লাগে কেরাণীগঞ্জের চুনকুঠিয়ায় প্রাইম প্যাক্ট নামের ওই প্লাস্টিক কারখানায়। ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট প্রায় সোয়া একঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আরও পড়ুন- জনবহুল স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা কিভাবে থাকে, প্রশ্ন বিপুর

ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের অপারেটর ফরিদ সারাবাংলাকে জানান, বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ঘটনাস্থলে ১০টি ইউনিট টানা কাজ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারেননি তিনি।

বিজ্ঞাপন

তবে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, ঘটনাস্থলে আগুনে দগ্ধ একজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন- কেরাণীগঞ্জের আগুনে দগ্ধদের সংখ্যা বেড়ে ৩৩

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় প্রাইম প্যাক্ট কারখানায়। এরপর ঘটনাস্থল থেকে ঢামেক হাসপাতালে আসতে থাকে দগ্ধ রোগীরা। শুরুতে ২৩ জনকে ভর্তি করা হয় বার্ন ইউনিটে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মোট ৩৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

বিজ্ঞাপন

ঢামেক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দগ্ধদের বেশিরভাগেরই শরীরের পুরোটা পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। বার্ন ইউনিটের বারান্দা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ওয়ার্ড, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও অপারেশন থিয়েটারে স্থানান্তর করা হচ্ছে দগ্ধ রোগীদের। ঢামেক হাসপাতালের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসার তদারকি করছেন।

আরও পড়ুন- কেরাণীগঞ্জের প্লাস্টিক কারখানায় আগুন, দগ্ধ ২৩ জন ঢামেকে

সন্ধ্যায় বার্ন ইউনিটে এক ব্রিফিংয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, আগুনে দগ্ধ রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি। তবে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন।

তিনি আরও বলেন, দগ্ধদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত জনবল ও ওষুধ রয়েছে। এরকম আরও ৪০ জন রোগীও যদি বার্ন ইউনিটে আসে, তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার যাবে। তাদের চিকিৎসায় কোনো ধরনের ত্রুটি হবে না। তারপরও প্রয়োজন হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হবে রোগীদের।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/টিএস/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন