December 11, 2019 | 9:39 pm
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: সদ্য সমাপ্ত এসএ গেমসে ফুটবল স্মৃতিটা বাংলাদেশের জন্য সুখকর ছিল না মোটেও। ভুটানের কাছে হেরে যাত্রা শুরু এরপর নেপালের কাছে হারে বিদায়। ভারত-পাকিস্তানহীন টুর্নামেন্টে পাঁচ দলের মধ্যে ব্রোঞ্জ সান্ত্বনা নিয়ে দেশে ফিরতে হয়েছে লাল-সবুজ প্রতিনিধিদের। শেষ ম্যাচে হার নিয়ে মাঠ ছাড়ার পাশাপাশি বাংলাদেশ পেতে পারে দুঃখের সংবাদও।
নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচে খেলার শেষ দিকে বাক-বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। ফাউল করার পর (দ্বিতীয় হলুদ কার্ড) লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়ার আগে রেফারিকে ধাক্কা দেয়ার মতো অখেলোয়াড়সুলভ ঘটনা ঘটেছে।
ম্যাচ কমিশনার যদি তার প্রতিবেদনে রেফারির বক্তব্য উল্লেখ করে এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে জমা দেন তাহলে শাস্তির খড়গ পড়তে পারে জামাল ভূঁইয়ার উপর। তবে অবশ্যই একটা তদন্ত কমিটির মাধ্যমে বিষয়টি পর্যবেক্ষণে নিবে এএফসি। ম্যাচ শেষে এমন কাণ্ডের কারণও জানিয়েছিলেন জামাল, ‘পুরো ম্যাচে রেফারি আমাদের বিরুদ্ধে ছিলো, যখন আমি ফাউল করেছিলাম তখন সে বললো বাংলাদেশে ফিরে যাও। একজন রেফারির থেকে এইরকমটা আশা করা যায় না।’
রেফারির আচরণও আমলে নেয়া হবে যদি প্রতিবেদন এএফসি কাছে পৌঁছায়। এদিকে মাঠের মধ্যে অধিনায়কের এমন আচরণে সমর্থকদের মধ্যেও আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
অবশ্য ম্যাচের মধ্যে রেফারির অনেক সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বিপক্ষে যেতে দেখা গেছে। জামাল ভূঁইয়ার প্রথম হলুদ কার্ডটাও ছিল রহস্যময়। সেই রহস্য ভেদ করতে পারেনি জামালও, ‘‘আমি আমার দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা দেখেছি ৯৩ মিনিটে। প্রথম হলুদ কার্ডটা কিন্তু প্রধান রেফারি দেননি, এটি এসেছিল মাঠের বাইরের চতুর্থ রেফারির মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত আমি জানি না, কোন কারণে প্রথম হলুদ কার্ড দেখেছিলাম।’
দ্বিতীয় হলুদ কার্ডটা স্পষ্টতই ফাউল ছিল তা ভিডিও দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। লাল কার্ড নিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার পথেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। সেটাও ব্যাখ্যা করলেন জামাল, ‘৯৩ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার পর আমি আমার মতো করেই ড্রেসিংরুমের দিকে ফিরে যাচ্ছিলাম। আবার ফিরে যাওয়ার কারণ, রেফারি আমার সতীর্থদের উদ্দেশে বলছিলেন, ‘‘বাংলাদেশ কখনোই এই প্রতিযোগিতায় জিততে পারবে না’’। এই কারণে আমি রেগে গিয়েছিলাম। একজন অধিনায়ক হিসেবে আমি এই কথা আমি মেনে নিতে পারিনি।’
তার এমন অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ এর আগে খুব একটা চোখে পড়েনি। এখন দেখার অপেক্ষা এএফসি পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় কিনা।
সারাবাংলা/জেএইচ