‘খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যায়নি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্লাড প্রেশার, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও তিনি শারীরিকভাবে দুর্বল বলে মত দিয়েছে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। একইসঙ্গে মেডিকেল বোর্ড মনে করছে, খালেদা জিয়া রাজি না হওয়ার কারণেই তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যায়নি।

আপিল বিভাগে দাখিল করা খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনে এসব বলা হয়।

আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে মুখোমুখি আ.লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ এই রিপোর্ট জমা দেয়। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রেজিস্ট্রার আলী আকবর প্রতিবেদনটি দাখিল করলে আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শুরু হয়।

আরও পড়ুন- খালেদার জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দাখিল, শুনানি শুরু

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার এই প্রতিবেদনে মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তিনি যেসব শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত, সেগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে তার। রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে তিনি শারীরিকভাবে বেশ দুর্বল। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসা দিতে চাইলেও তিনি রাজি না হওয়ায় তা দেওয়া যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন- আর ছয় মাস গেলে তিনি লাশ হয়ে ফিরবেন: জয়নুল আবেদীন

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আপিলের রায় ঘোষণার কথা ছিল। তবে এর আগে আদালত খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন চাইলে তা ওই তারিখের আগে দিতে পারেনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষ। ফলে আদালত জামিন বিষয়ে আদেশ একসপ্তাহ পিছিয়ে দিতে চাইলে আপিল বিভাগে ব্যাপক হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। হট্টগোলের কারণে ওই দিন বন্ধ ছিল বিচার কাজ। এ ঘটনাকে বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ করেছেন স্বয়ং প্রধান বিচারপতি।

আরও পড়ুন-

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে

৩০ জন করে আইনজীবী থাকবেন খালেদার জামিন শুনানিতে

কড়া নিরাপত্তা, আপিল বিভাগে ঢুকতে দেওয়া হয়নি সব আইনজীবীকে

কার্যতালিকায় খালেদার জামিন শুনানি, আদালতের নিরাপত্তা জোরদার

সারাবাংলা/এজেড/টিআর