December 13, 2019 | 12:13 pm
ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে সাবেক স্ত্রী ও চার বছরের সন্তানকে এসিড দিয়ে ঝলসে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। এসময় নিজের শরীরেও এসিড পড়ে দগ্ধ হয়েছেন হাফিজুর রহমান নামে ওই ব্যক্তি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের সারদা ঘোষ রোডে এই ঘটনা ঘটে।
এসিডে গুরুতর দগ্ধ রুপালি আকতার (২২) ও তার ছেলে রুহানকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই ভর্তি করা হয়েছে হাফিজুর রহমানকেও।
রুপালীর বাবা জানান, যৌতুকের দাবি করায় ময়মনসিংহ শহরের হাফিজুর রহমানের সঙ্গে তার মেয়ের ছাড়াছাড়ি হয় এক বছর আগে। পরে দেনমোহরের দাবিতে আদালতে মামলা করেন তিনি। আদালতে দায়ের করা দেনমোহর মামলায় বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রায় হয়েছে। রায়ে রুপালীকে দেনমোহর বাবদ তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রুপালি নিজের চিকিৎসা ও ছেলের জন্য গরম কাপড় কিনতে শহরে যান। এসময় হাফিজুর টাকা পরিশোধের কথা বলে তাদের সারদা ঘোষ রোডে ডেকে নেন। পরে রুপালী ও রুহানের শরীরে এসিড ছুঁড়ে মারেন তিনি। বিষয়টি বুঝতে পেরে স্থানীয়রা হাফিজুর রহমানকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে সঙ্গে থাকা এসিডে হাফিজুর নিজেও দগ্ধ হন। পরে এসিডদগ্ধ তিনজনকেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এসিডদগ্ধদের দেখতে হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ূন কবির। তিনি জানান, পুরো ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। হাফিজুরের বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএমএন