December 14, 2019 | 6:28 pm
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
ইনজুরি থেকে ফিরেই পারফর্ম করলেন এবং দলের জয় দেখলেন। ক’জন ক্রিকেটারের ভাগ্যে জোটে এমন? অন্য কারো কথা বাদ দিন। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলপতি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ক্ষেত্রে কিন্তু হুবহু এই ঘটনা ঘটনা ঘটেছে। ভারতের বিপক্ষে দিবা-রাত্রির টেস্টের দ্বিতীয় দিনে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে প্রায় ৪ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়া এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার টুর্নামেন্টের চতুর্থ দিনে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের শুরুটা করলেন।
যে ম্যাচ দিয়ে শুরুটা করলেন সেই ম্যাচেই ব্যাটে নিজেকে প্রমাণ করলেন। তবে ব্যাটিং ততটা আপ টু দ্যা মার্ক না হলেও বোলিংটা কিন্তু দুর্দান্তই করেছেন। ব্যাট হাতে ১৬ বল খেলে ১৫ রান করা চট্টলা দলপতি ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৭ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট থলিতে পুরেছেন। আর দলপতি হিসেবেও সফল। তার ফেরার ম্যাচেই জয় পেল বন্দর নগরীর দলটি।
টুর্নামেন্টে চট্টগ্রামের এটি দ্বিতীয় জয়। আর এই জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে এল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। অতএব তার ভাল লাগার কোন কারণই নেই। এবং অনুমিত ভাবেই তিনি উদ্বেলিত।
‘ইনজুরি থেকে মোটামুটি ভালভাবেই রিকভারি হয়েছে। চাচ্ছিলাম যেন শতভাগ ফিট হয়ে ম্যাচে আসতে পারি। সবাই ভাল পারফর্ম করেছে। দল হিসেবেও আমরা ভাল পারফর্ম করেছি।এই জন্য ভাল লাগছে।’
তবে এই ভাল লাগার পাশাপাশি হতাশাও তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। সেটা অন্য কোন কারণে নয়, ম্যাচ শেষ করে আসতে পারেননি বলে। তার চাইতে বড় হতাশা হল টম আবেলের যে বলটিতে তিনি নাদিফ চৌধুরীর তালুবন্দি হয়েছেন সেটা আউট হওয়ার মত বল ছিল না। বরং চার-ছক্কা হাঁকানোর মতোই ছিল।
‘ব্যক্তিগত ভাবে এই বিষয়টা নিয়ে আমি হতাশ। চাচ্ছিলাম যে ম্যাচ শেষ করে আসি। কিন্তু দুর্ভাগ্য যে বলে আউট হয়েছি আমার ধারণা ওই বলে একটা ভাল রানের সুযোগ ছিল।’
প্রসঙ্গত, শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু বিপিএলে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে রংপুর রেঞ্জার্স। জয়ের জন্য ১৫৮ রানের লক্ষ্যে খেলেতে নেমে ১৮.২ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
সারাবাংলা/এমআরএফ/এনএ