February 18, 2018 | 8:53 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
দুই দিন ধরে এএফসির দুই প্রতিনিধি বাংলাদেশে। এএফসি কাপে বাংলাদেশের ফুটবল অবকাঠামোসহ লাইসেন্স নিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এক ভেন্যুতে আর পেশাদার লিগ নয়। এক ভেন্যুতে এএফসি কাপ নয়! কঠোর অবস্থানে এএফসি। এমতাবস্থায় চাপের মুখেই আছে বাফুফে।
পেশাদার লিগ নামে দেশের ফুটবলে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) হয়েছে একটা ভেন্যুতেই। রাজধানী কেন্দ্রীক দেশের সকল ফুটবল টুর্নামেন্ট হচ্ছে। তাতে মাঠের অবস্থা যায় যায় প্রায়!
এএফসি জানিয়ে দিয়েছে, এমনভাবে চলবে না। ভেন্যু বাড়াতে হবে। অন্তত ছয়টি ভেন্যুতে খেলা চালিয়ে যেতে হবে। নাহলে আবার কিসের পেশাদার! এদিকে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন জেলায় মাঠ সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে। এরপরের মৌসুমে ভেন্যু বাড়ছে বলে বাফুফে সূত্রে জানা গেছে ও মৌসুম বর্ষাকাল থেকে সরিয়ে উইন্টারে নেয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুযায়ী।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ বিষয়ে বৈঠক করেছে এএফসির ডেভেলপমেন্ট কমিটির দুই কর্মকর্তা যোগেশ দেশাই ও দোমেকা গ্রামান্দি। ক্লাবগুলোর লাইসেন্স নিয়েও কথা বলেন তারা। দেশের মাত্র তিনটি ক্লাবই কেন এএফসির লাইসেন্স পূরণ করেছে সেটাতেও তারা অবাক হয়েছেন। এর থেকে আরও বেশি আশা করেছিল এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন।
বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘এএফসি এখন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ঢাকায় সব খেলা দেওয়ার কোনো যুক্তি তারা খুঁজে পাচ্ছে না। এর কোনো গ্রহণযোগ্যতাও তাদের কাছে নেই। তাই বারবার বলছে, ঢাকার বাইরে খেলা নিয়ে যাও। এও বলেছে কমলাপুরে যাও, ঢাকার আশেপাশে গাজীপুর, টাঙ্গাইল যাও। তবু খেলা এক মাঠে আর করা যাবে না।’
এছাড়াও ক্লাবগুলোর ভঙ্গুর অবকাঠামো নিয়েও কথা বলেছে এএফসি। দেশের ক্লাবগুলোর অবকাঠামো ব্যবস্থা নিদারুণ পর্যায়ে। এমন হলে পেশাদ্বারিত্বের অবস্থান ধরে রাখা যায় না। যার খেসারত দিতে হতে পারে ক্লাবগুলোকে। বাংলাদেশের কোনো ক্লাবকে এএফসি কাপে খেলার অনুমতি নাও দিতে পারে।
সোহাগ জানান, ক্লাব অবকাঠামো বাড়াতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে এএফসি। এও বলে দিয়েছে, ক্লাবগুলোকে সব নির্দেশনা মানতে হবে। নইলে ওরা আর বাংলাদেশের ক্লাবকে এএফসি কাপে খেলতে দেবে না।
এগুলো নিয়ে চাপেই আছে বাফুফে। সংগঠনের বেশিরভাগ কর্মকর্তা আবার ক্লাবের শীর্ষ কর্মকর্তাও। তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে তাদের। নাহলে দুয়ারে এএফসির অশনি সংকেত অপেক্ষা করছে।
সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি