বিজ্ঞাপন

ওরাই পরস্পরকে দোষারোপ করছে, আমাদের কিছু বলার দরকার নেই

December 20, 2019 | 3:32 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নরসিংদী: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের দল। আমরা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের যে চেতনা, গণতন্ত্রের চেতনা— সেই চেতনা নিয়ে আমরা লড়াই করছি। আজকে আমাদের সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের সেই চেতনাকে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রাম।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় তৈরি করেছেন বেগম খালেদা জিয়া। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বেশি কথা বলতে চাই না। কারণ ওরা নিজেরাই এখন কে মুক্তিযোদ্ধা আর কে রাজাকার তা নিয়ে পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করতে শুরু করেছে। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বানাচ্ছে, রাজাকারদের মুক্তিযোদ্ধা বানাচ্ছে। আমাদের আর কিছু বলার দরকার নেই।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত খাদ্যমন্ত্রী আব্দুল মোমেন খানের স্মরণ সভায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মোমেন খান স্মৃতি পরিষদ। এতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।

বিজ্ঞাপন

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান উদ্দিন মোল্লা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর এলাহীসহ অনেকে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল আরও বলেন, বাংলাদেশের এই সরকার আজকে নিজেদের মানুষের স্বার্থে কাজ করছে না। তারা নিজেদের স্বার্থে, ক্ষমতায় থাকার স্বার্থে, অন্যদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাংলাদেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে। আমরা বারবার বলেছি, প্রমাণও করেছি।

তিনি বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখবেন, রাখতেই হবে। আজকের পৃথিবীতে কেউ আলাদা হয়ে থাকতে পারে না। কিন্তু আমাদের নিজেদের স্বার্থতো চিন্তা করতে হবে। আমাদের বন্ধু দেশ, অত্যন্ত ঘনিষ্ট বন্ধু ভারত। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের সহযোগিতা করেছে, আমরা সে জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাই বলে আমার যে সমস্যা আছে সেই সমাধান আমি করব না?

বিজ্ঞাপন

আমার তিস্তা নদীর পানি পাই না। বর্ডারে আমার মানুষগুলোকে গুলি করে ফেলে দেয় তার কোনো বিচার হয় না। আবার এখন নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে এনআরসি। তাদের মন্ত্রীরা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলছেন, বাংলাদেশের নাগরিক যারা চলে এসেছে তাদের ফেরত পাঠানো হবে। আমরা বুঝি না, ১৯৭১ সালের পরে এই দেশের নাগরিকরা ভারতে যাবে কেন! ভারত কি আমাদের থেকে অর্থনীতিতে উন্নত হয়েছে? আমাদের এখানে এখন অনেক বেশি কাজ। ভারত থেকে এসে প্রায় ১০ লাখ মানুষ এখানে কাজ করে। বাংলাদেশ দ্বিতীয় দেশ যেখান থেকে তারা সর্বোচ্চ বিদেশি মুদ্রা অর্জন করে— বলেন ফখরুল।

সারাবাংলা/এটি

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন