বিজ্ঞাপন

প্রাণ খুলে তৃণমূলের কাছে মুখ খুললেন শেখ হাসিনা!

December 22, 2019 | 11:43 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা নবমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে দলটির তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের সামনে প্রাণ খুলে মন খুলে কথা বললেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

রোবরাব সন্ধ্যায় তৃণমূলের বিভিন্ন স্তরের শতাধিক নেতাকর্মী শেখ হাসিনাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে গণভবনে যান। এসময় তৃণমূল নেতাদের সামনে সূচনা বক্তব্যের পর শুরু হয় প্রাণ খোলা আলাপ। তৃণমূল নেতাদের জনগণের কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও ফেলে আসা দিনের স্মৃতিও রোমন্থন করেন শেখ হাসিনা।

শুভেচ্ছা বিনিময়ে গণভবনে উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সারাবাংলাকে এসব কথা বলেছেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আপনারা প্রাণ থেকে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন, আমিও প্রাণ থেকে কথা বলছি। আমি চট্টগ্রাম থেকে এসে উপরে উঠে গিয়েছিলাম। কিন্তু শুনলাম আপনারা এসেছেন। তাই ওদেরকে বলেছি, ওদেরকে আসতে দাও, ওরা আসুক আমি কথা বলব।

বিজ্ঞাপন

তারা আরও জানায়, আওয়ামী লীগ সভাপতি কিছুক্ষণ সূচনা বক্তব্যের পর প্রাণখুলে কথা বলার জন্য উপস্থিত মিডিয়াকে ক্যামেরা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, এই তুমি (ক্যামেরা) বন্ধ কর, আমাকে একটু মনখুলে কথা বলতে দাও।

আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৫ আগস্টের ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিজের বক্তব্য রাখা শুরু করেন। তিনি বলেন, তখনও এতো নেতা ছিল কিন্তু আমরা জাতির পিতাকে রক্ষা করতে পারিনি। ওনার লাশ পড়ে থাকল, কেউ এগিয়ে আসল না।

আওয়ামী লীগ নেত্রী আরও বলেন, ১৯৮১ সালে দলকে সংগঠিত করার লক্ষে এই আমি দেশে ফিরে সব চাচাদের (তংকালীন সিনিয়র নেতা) দরজায় দরজায় ঘুরেছি। সবার কাছে গেছি। কিন্তু কার কাছে কি পেয়েছি, সব কথা আমি জানি। আমি সব কথা বলতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সূচনা বক্তব্যে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কাউন্সিলরদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন বলেন, আজকে বাংলাদেশ যতটুকু উন্নয়ন করেছে তার সবটুকুই বাংলাদেশ আওয়মী লীগই করেছে। স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন জাতির পিতা, তিনিই যুদ্ধবিধস্ত দেশ গড়ে তুলেছেন। তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমরা দেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছি। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করে যাচ্ছি।

নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলীয় প্রধান বলেন, আমরা সবাই যদি উদ্যোগ নিয়ে কাজ করি, যার যার এলাকায় প্রত্যেকে কাজ করি, যারা দরিদ্র-ভূমিহীন তাদের খুঁজে বের করে ঘরবাড়ি করে দিতে পারি। আমাদের তরফ থেকে আমরা সবই করে দিতে পারি। তাহলেই দেখবেন দেশে দরিদ্র বলে কিছু থাকবে ন।

এসময় আওয়ামীলীগ নেতাদের মধ্যে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশা, ঢাকা সিটি উতর ও দক্ষিণের দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও সাঈদ খোকন, গোপালগঞ্জ সদরের উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, রাসেল আশেকী, সাবেক ছাত্রনেতা আলী আশরাফসহ ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য শাখার কয়েকজন প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাসহ কুষ্টিয়া জেলাসহ বিভিন্ন জেলার প্রায় শতাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিএস

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন