বিজ্ঞাপন

পিছিয়ে থেকে উত্তর বারিধারাকে হারিয়ে দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা

December 24, 2019 | 6:36 pm

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে ঘরোয়া ফুটবলের অন্যতম বড় আসর ফেডারেশন কাপে নবাগত উত্তর বারিধারার যেন কপাল পুড়েই চলেছে। প্রথম ম্যাচে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের শিকার হয়েছে নবাগত দলটি। অন্যদিকে পিছিয়ে থেকে ম্যাচটা ঝুলিতে ভরে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে গেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র।

বিজ্ঞাপন

এর আগে প্রথম ম্যাচেও মোহামেডানের সঙ্গে ড্রয়ে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল আব্দুল কাইয়ুম সেন্টুর দল। দ্বিতীয় ম্যাচে অনেকটা বাঁচা-মরার লড়াই ছিল আলফাজ আহমেদের উত্তর বারিধারার। কোয়ার্টার ফাইনালের আশা টিকিয়ে রাখতে এই ম্যাচে কমপক্ষে পয়েন্ট পাওয়া দরকার ছিল তাদের।

যদিও আজ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচটা সেভাবেই শুরু করেছিল বারিধারা। গোলে এগিয়ে গিয়েছিল তারাই। বিরতির ঠিক আগে গোল হজম করে যেন ম্যাচ থেকেই বেরিয়ে যায় আলফাজের শিষ্যরা।

তবে ম্যাচের প্রথমার্ধ যেন আধিপত্য নিয়ে খেলেছে এক বিদেশি কম নিয়ে খেলা বারিধারা। শুরু থেকেই প্রতি আক্রমণে ত্রাস ছড়াচ্ছিলো মুক্তিযোদ্ধা রক্ষণে। ৩১ আর ৩৫ মিনিটে ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে আর আবদুল্লাহ তোফেলের শট দুটি মুক্তিযোদ্ধা গোলরক্ষক মাহফুজ প্রিতম ঠেকিয়ে না দিলে আরও আগেই এগিয়ে যেতে পারতো নবাগত দলটি।

বিজ্ঞাপন

বিরতির পাঁচ মিনিট আগে ল্যান্ডিং এগিয়ে দেন বারিধারাকে। মুক্তিযোদ্ধা রক্ষণের ভুলে পাওয়া বল দখলে নিয়ে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ডকে বাড়ান আরিফ হোসেন। এরপর মুক্তিযোদ্ধা রক্ষণকে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে মৌসুমের প্রথম গোলটি করেন ল্যান্ডিং।

প্রথমার্ধ বিরতির ঠিক আগে সমতায় ফেরে মুক্তিযোদ্ধা। বদলি হিসেবে নামা সারোয়ার জামান নিপুর নিচু ক্রসে আলতো টোকায় সহজ এক গোল করে দলটিকে সমতায় ফেরান ইসমাইল বাঙ্গুরা।

জয় ছাড়া টুর্নামেন্টে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়তো মুক্তিযোদ্ধারও। বিরতির পর যেন আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় তারা। গোলের সুযোগও বলতে গেলে বারিধারার থেকে বেশি তৈরি করেছে মুক্তিযোদ্ধা।

বিজ্ঞাপন

৭৩ মিনিটে মেহেদী হাসান রয়েলের থ্রু পাস থেকে একক নৈপুণ্যে গোল করেন নোরিতো হাসহিগোসি। তাতেই ২-১ ব্যবধানে জয়টাও ঠিক পাকাপোক্ত করে ফেলে সেন্টুর শিষ্যরা।

এ জয়ে ডি গ্রুপে সর্বোচ্চ ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যায় মুক্তিযোদ্ধা। আর দুই ম্যাচ হেরে পয়েন্টহীন বারিধারা আছে টেবিলের তলানিতে।

টানা দুই ম্যাচের হারটাকে অভিজ্ঞতা হিসেবেই দেখছেন সর্বোচ্চ লিগে অভিষেক হওয়া একসময়ের তারকা ফুটবলার।আলফাজ আহমেদের, ‘ওভারল বেটার টিম মুক্তিযোদ্ধা। আমার টিমে ম্যাক্সিমাম প্লেয়াররাই ইয়াং। অভিজ্ঞতা নিয়ে লিগে কাজে লাগাতে পারি। সমতা আসা ওদের গোলটাই আসলে মোরালি ডাউন করে দিয়েছে আমাদের দলকে। আমরা এক ফরেইন কম খেলতেছি। কিছু কিছু দুর্বলতা আছে। লিগের আগেই ফরেন প্লেয়ার দুজন দলে যোগ দিবে। একটা এশিয়ান কোটা আর একজন ব্রাজিলিয়ান আসতেছে।’

বারিধারাকে হারিয়ে খুশি জাতীয় দলে স্বর্ণজয়ী ফুটবল দলে আলফাজ আহমেদের সতীর্থ আব্দুল কাইয়ুম সেন্টু, ‘ভালো পারফরমেন্স। করেছে দল। ডু আর ডাই ম্যাচ হবে। তিন পয়েন্ট পেয়েছি। এটাই বড় পাওয়া। শেখ রাসেলের সঙ্গে ভাল কিছু করা সম্ভব।’

বিজ্ঞাপন

সামনের ২৮ তারিখ দুই দলেরই ম্যাচ আছে। তবে আপাতত বারিধারার কোন সুযোগ নেই কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার। সুযোগ আছে মুক্তিযোদ্ধার।

সারাবাংলা/জেএইচ/এনএ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন