বিজ্ঞাপন

থ্রিপস পোকার আক্রমণ হতে পারে বোরো বীজতলায়

December 30, 2019 | 8:30 am

সারাবাংলা ডেস্ক

ঢাকা: কুয়াশাচ্ছন্ন আবহওয়া এবং তীব্র শীতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বোরো বীজতলা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ঠিক সময়ে পরিচর্যা খুবই জরুরি।

বিজ্ঞাপন

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিবিড় বার্ষিক উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে জাতীয়ভাবে ৪৮ দশমিক ৬৬ লাখ হেক্টর জমিতে ২০৪ দশমিক ৩৬ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান আবাদের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

কৃষি অধিদফতরের উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের পরিচালক এ. জেড. এম. ছাব্বির ইবনে জাহান বলেন, ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে রাতে বীজতলা স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। তবে দিনে তুলে ফেলতে হবে। আগাছা ও পাখির আক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বীজ গজানোর চার থেকে পাঁচ দিন পর বীজতলার উপরে ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পানি রাখতে হবে।

চারা গাছের রঙ হলুদ হয়ে গেলে প্রতি বর্গমিটারে ৭ গ্রাম ইউরিয়া উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তাতেও যদি কাজ না হয়, তাহলে প্রতি বর্গমিটারে ১০ গ্রাম করে জিপসাম দিতে হবে। এসময় মূল জমিতে ভালোভাবে মই দিয়ে কাদা করে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে পানি যেন শুকিয়ে না যায়। জৈব সার ব্যবহারের পাশাপাশি অন্যান্য সার দেওয়া যাবে, তবে শেষ চাষের আগে ইউরিয়া ব্যবহার করা যাবে না— বলেন এ. জেড. এম. ছাব্বির।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, চারার বয়স ৩০ থেকে ৪০ দিন হলে মূল জমিতে রোপণ শুরু করতে হবে। থ্রিপস পোকার আক্রমণ থেকে বীজতলা রক্ষা করতে হলে বীজতলা পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে পানি বের করে দিতে হবে। আক্রান্ত জমিতে অল্প পরিমাণে নাইট্রোজেন জাতীয় সার ব্যবহার করা যেতে পারে। আক্রমণের হার বেশি হলে ম্যালথিয়ন, আইসোপ্রোকার্ব, কার্বলিক অথবা ক্লোরোপাইরিফস গ্রুপের অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে।

থ্রিপস পোকার আক্রমণে গাছের পাতা লম্বালম্বিভাবে মুড়িয়ে সুঁচের আকার ধারণ করে। এরপর শুকিয়ে যায়। সাধারণত কুশি অবস্থায় থ্রিপস পোকা আক্রমণ করে।

এ. জেড. এম. ছাব্বির বলেন, তীব্র শীতে বীজতলায় চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগও হতে পারে। হলে বীজতলায় পানি ধরে রাখতে হবে। সেই সঙ্গে স্বচ্ছ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি হারে আজোক্সিস্ট্রাবিন বা পাইরোক্ট্রোস্ট্রবিন জাতীয় ছাত্রাকনাশক মিশিয়ে দুপুরের পরে স্প্রে করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

চারা পোড়া বা ঝলসানো রোগ হলে গাছ ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায়। দেখে মনে হয় পুড়ে গেছে।

সারাবাংলা/এটি

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন