বিজ্ঞাপন

আঁধার রাজ্যের সাহসিকাদের কথা

December 27, 2019 | 10:00 am

ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন

আমার কন্ঠে বড়সড় সমস্যা দেখা দিয়েছে এটা প্রথম সেদিনই টের পাই। এর কিছুদিন আগে থেকে বক্তৃতার মাঝে দু’ একবার গলা শুকিয়ে যেত, কথা আটকে যেত। একটু পানি খেতাম। কয়েক সেকেন্ড চুপ করে থাকতাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যেতো। ওই মুহূর্তে দুশ্চিন্তা হতো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা টানা কথা বলে আসছি কত বছর ধরে। চিৎকার করে গান ধরতাম সুযোগ পেলেই। হঠাৎ এমন হচ্ছে কেন? কিন্তু পরে আর ইএনটির ডাক্তার দেখানোর কথা মনে থাকতো না। কিন্ত সেই দিন খুব কষ্ট হচ্ছিলো। কথা বেরোচ্ছেই না। মনে হচ্ছে গলার ভিতরটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে। হঠাৎ আমার এই অবস্থা দেখে পাশ থেকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মনোয়ার হোসেন মোল্লা বললো, স্যার একটু রেস্ট নেন। আমি চালিয়ে নিচ্ছি। মাইক ছেড়ে দিয়ে চেয়ারে বসে পড়লাম।

বিজ্ঞাপন

সারাদিন অনেক ধকল গেছে কন্ঠের উপর দিয়ে। সকাল থেকে টানা কথা বলেছি। এটা ছয় নম্বর অনুষ্ঠান৷ পাশের একজনকে বললাম পানি খাওয়াতে। একটু পর পানি ও গরম আদা-চা বাড়িয়ে দিলো পরম মমতার দুই জোড়া হাত। কিন্তু মুখের কাছে নিয়ে থমকে গেলাম। আজন্মলালিত সংস্কার! কেমন একটা অস্বস্তি এসে বাধা দিচ্ছে ওই হাতের বাড়িয়ে দেয়া কিছু মুখে দিতে। এই সমাজ আমাদের মগজে গেঁথে দিয়েছে যে ধারণা, ওরা অশুচি! নিজেকে অগ্রসর আর নারীবান্ধব দাবী করা, নারীর স্বাস্থ্য নিয়ে উচ্চকণ্ঠ এই আমিও অবচেতন মনের তাড়নায় অল্প কিছুক্ষণ দ্বিধায় ভূগে থমকে রইলাম। পরক্ষণেই সব দ্বিধা ঝেড়ে ঢকঢক করে পানিটুকু গলায় ঢেলে দিলাম। বসে যাওয়া গলায় গরম আদা-চা মধুর লাগতে শুরু করলো। দুজনকে ধন্যবাদ দিলাম। লজ্জা পেল মনে হলো আমার ধন্যবাদ শুনে। পুরনো সংস্কার আবার কিছুটা অবাক করলো আমায়। এরা আবার লজ্জা পায়? হায়রে আমাদের মন! দৌলতদিয়া ঘাটের পাশের এই বৃত্তবন্দী নারীরাও আর সব নারীদের মতই একটা নিষ্পাপ শৈশব হয়তো পেরিয়ে এসেছে। মায়ের কোলে শুয়ে গল্প শুনেছে, বাবার গলা জড়িয়ে কত আব্দার করেছে। হয়তো কাউকে ভালোবেসেছে। নিষ্ঠুর ভাগ্য ওদের এই আঁধার রাজ্যে টেনে এনেছে।

অনুষ্ঠান শেষে পাশের স্কুল ঘরে বসিয়ে যখন নাশতা খাওয়ালো, তখন কোনো অস্বস্তি আর ছিলো না আমার মাঝে। আয়োজক ও কর্মজীবী নারী ও তাদের সন্তানদের জন্য প্রতিষ্ঠিত সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেব আর এডিসি মনোয়ার সাহেবের কাছ থেকে এর মাঝে এদের অনেক কষ্ট আর বেদনার কথা শোনা হয়েছে।

সে সময় রাজবাড়ি জেলার জেলা প্রশাসক, এডিএম, এসপি সবাই নারী। এডিসি মনোয়ার হোসেন মোল্লা আমাকে খুব পছন্দ করে। তামাকবিরোধী একটা প্রোগ্রামে ব্র‍্যাক সিডিএমএ-তে তিন দিনেই আমার ভক্ত হয়ে যায়। তখন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ইউএনও। আমাকে নিয়ে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্যাম্পেইন করবে। নানা কারণে যাওয়া হয় নি। রাজবাড়ীতে এডিসি হয়েই এই আয়োজন। ডিসি জিনাত আরা আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি সভা করেছেন সিভিল সার্জনকে নিয়ে। র‍্যালিসহ একদিনে ছয়টি অনুষ্ঠান। আমি একক বক্তা। দিনের শেষ আলোচনা সভাটি ছিলো গোয়ালন্দের এই ভাগ্যাহত নারীদের নিয়ে। ফেরিতে পদ্মা পার হচ্ছিলাম, আর পেছনে ফেলে আসা কিছু নারীর তীব্র যন্ত্রণা, শোষণ, আর নির্যাতনের মানবেতর জীবন যাপনের কথা ভাবছিলাম। কাল সকালেই হয়তো সব ভুলে যাবো রাজধানী শহরে নিজস্ব ভূবনের মায়াজালে।
২.
জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠান ইউএনএফপিএ’র শামসুজ্জামান আর ডা. নাবিলা কয়েকদিন ধরে ফোন দিচ্ছিলো। চায়ের দাওয়াত। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পুরনো ভবনে ওদের একটা অফিসে বসলাম। দুজনকেই আমি খুব পছন্দ করি। জামান অধিদফতর, মন্ত্রণালয়ের আর নানা স্টেক হোল্ডারদের সাথে কাজ করতে করতে অভিজ্ঞ। ডা. নাবিলাকে আমার বাচ্চা একটা মেয়ে মনে হয়। কিন্তু কাজের মধ্যে দারুণ পেশাদারিত্ব চোখে পড়ে সহজেই। আচার আচরণে অত্যন্ত বিনয়ী। পছন্দের এই দুজনের অনুরোধে রাজী হয়ে গেলাম জটিল ও স্পর্শকাতর এক কাজে। ময়মনসিংহ শহরের মধ্যে খানের সেই নিষিদ্ধ বৃত্তের নারীদের রাজী করাতে হবে ভায়া টেস্ট করাতে। জরায়ুমুখের ক্যান্সার স্ক্রিনিং এর প্রাথমিক পরীক্ষা এটি। অতি ঝুঁকিপূর্ণ এই নারীদের স্ক্রিনিংয়ে রাজী করানো যাচ্ছে না কিছুতেই। কেন যাচ্ছে না? অনেক ভ্রান্ত যুক্তি ওদের। আসল কারণ অন্যখানে। অর্ধেকেরও বেশি তো মাইনর গার্ল। বারো, তেরো, চৌদ্দ! তাই বাইরের কাউকে এরা এলাউ করে না ভিতরে কাজ করতে। নাবিলা আর জামান বলছিলো, স্যার আপনি ছাড়া কেউ পারবে না। মিশন ইম্পসিবল। মনে মনে ভাবছি, মোটিভেশনাল স্পিকার এবার ফেল মারবে নির্ঘাত।

বিজ্ঞাপন

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে বোধ হয় আমার জীবনের সেরা বক্তৃতাটি দিয়েছিলাম। কয়েকজন নেত্রী এসেছেন। পুলিশের কর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। সিভিল সার্জন ও তার সহকর্মীরা। নেত্রীদের কথায় অনেক ধারালো যুক্তি। দুই একজন বেশ লেখাপড়া জানা, বোঝা যাচ্ছে। অনেক দৃঢ়তা ওদের চোখেমুখে। ওদের খোলামেলা ভাষায় আমি কিছুটা বিব্রত হলেও হাল ছাড়ি নি। শেষ পর্যায়ে আমার আবেগ ছড়ানো কিছু বক্তব্যে ওরা রাজী হয়ে গেল। ঠিক হলো, লাঞ্চের পর জামান আর আমি যাবো ওদের এলাকায়। চেকাপের বন্দোবস্ত করে আসবো। পরদিন থেকেই শুরু হবে চেকআপ। মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক তায়েবা আমার সহপাঠী। আগেই ওকে বলেছিলাম, এই কাজে সাপোর্ট করতে। এখানে নতুন কিংবা অনভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে হবে না। ও বললো, দোস্ত তুমি বললে তো যেতেই হবে। তবে নাহিদ আপাকে নিয়ে গেলে সবচেয়ে ভালো হবে।। উনি আগে একবার অন্য একটা প্রোগ্রামে গিয়েছিলেন ওখানে। নাহিদ আপা সহযোগী অধ্যাপক, তবে আমাদের এক ব্যাচ সিনিয়র। এম-১৮। আপার সাথে আলোচনা আমার মনে থাকবে সারাজীবন। স্পষ্টবাদী। চাঁছাছোলা কথা। আপার মুখে কিছুই আটকায় না। ডাক্তার হয়েও আমার কানে তুলো দেয়ার মত অবস্থা। এটাও বুঝতে পারছিলাম, ওই নারীদের জন্য তার ভীষণ আন্তরিকতা থেকেই পুরুষদের প্রতি তার এই তীব্র আক্রমণাত্মক ভাষার প্রয়োগ। রাসকিন, তুমি এসেছো আমি যাবো। কিন্তু সাথে জুনিয়র ডাক্তার কয়জন নিতে পারবো জানিনা। ওইখানে গিয়েছে জানলে পরিবার ও সমাজের নানা গঞ্জনা শোনার ঝক্কি আছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার নাসির সাহেবের সাথে দেখা করেছিলাম আগের দিন এসেই। যন্ত্রপাতি, লোকবল যা লাগবে,সব দিতে রাজী তিনি।

লাঞ্চের পর জীবনে প্রথম এলাম রহস্যঘেরা এলাকায়। মেডিকেল কলেজে পড়তাম যখন, বাঘমারা হোস্টেল থেকে রেলস্টেশনের উপর দিয়ে গাংগিনার পাড় যাওয়া ছিলো প্রতিদিনের রুটিন। শহর বলতে তখন ওইটাই। আসাদ মার্কেটের কৃষ্ণা কেবিনের মালাইকারি আর লুচি বিখ্যাত। খাবারের জায়গা বলতে এর বাইরে স্টেশন রোডে তাজমহল রেস্টুরেন্ট, আর প্রেস ক্লাবের বিরিয়ানি। অনেক পরে চালু হলো শহরের প্রথম চাইনিজ, ইয়াং কিং। তো, বলতে আজ বাধা নেই, কৃষ্ণা কেবিনের সুস্বাদু মালাইকারি আর লুচি খেতে যেতাম মাঝে মাঝেই। কিন্তু মুখে দেয়ার সময় একটা অস্বস্তি ভর করতো। রাস্তার ওপারেই রেড লাইট জোন, ইদানীং বলা হয় যৌনপল্লী। এদিকে গাংগিনার পাড়, ওদিকে স্বদেশী বাজার। দুইদিকে দুটি গেট। রাস্তার দিকে তাকালেই রহস্যঘেরা নারী আর ওখানে আসা পুরুষদের চলাফেরা দেখা যেত। ওরা নিশ্চয়ই মিষ্টি খেতে এই দোকানেও আসে! সেই ছোটবেলা থেকে চলে আসা সংস্কার এই অস্বস্তির কারণ।

তিরিশ বছর পর সেই রহস্যঘেরা জোনে ঢুকে পড়লাম জামানকে সাথে নিয়ে। প্রথমেই মুগ্ধ হলাম ওদের ভদ্রতায়। সিনেমায় দেখা দৃশ্যের সাথে তেমন মিলছে না। প্রধান নেত্রী সাথী (ছদ্মনাম) গেটেই রিসিভ করলো সালাম দিয়ে। মূল বিল্ডিংয়ের পাশের ইন্টারনাল রাস্তার দুইপাশে সারিবদ্ধ দোকান। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যায়। ছোট রাস্তায় অনেক মেয়ে হাঁটছে। সাথী আর সাথের আরেকজন আমার সামনে হাত দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, যাতে মেয়েদের কারো ছোঁয়া না লেগে যায় আমাদের সাথে। এরা কি আমার মনের অস্বস্তির সংস্কারের কথা বুঝে ফেলেছে?

বিজ্ঞাপন

কয়েকদিনের জন্য আমাদের একটা ঘর লাগবে। নাহিদ আপা তার টিম নিয়ে কাজ করবেন সেখানে। সাথীকে সাথে নিয়ে ঘুরে ঘুরে একটা ঘর সিলেক্ট করলাম। ভাড়া জানতে চাইতেই সাথী বললো, ভাড়া লাগবে না স্যার। আমার মেয়েদের ভালোর জন্য আপনারা এত কিছু করছেন, আমি এইটুকু পারবো না?

কয়েকজন আস্তে আস্তে কাছে এসে দাঁড়ালো। একজনের মামা ক্যান্সারে ভূগছে, তার কাগজপত্র নিয়ে এসেছে আমাকে দেখাতে। আরেকজনের গাইনির সমস্যা। প্রাইভেট ডাক্তার দেখিয়ে অনেক খরচ হয়ে গেছে। আমি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিলাম। একজন কাছে এসে জানালো, আমাকে টিভিতে দেখেছে। আস্তে আস্তে সহজ হচ্ছে ওরা। একজন বললো, আপনার অনেক মায়া, স্যার। আমার নাম্বার চাইলো। একটু দ্বিধা হলেও, বলে দিলাম। আসার আগে সাথী বললো, কোনো প্রয়োজনে আমরা ফোন করলে, ধরবেন তো স্যার? কেন ধরবো না? বললাম আমি। আমি ঢাকায় চলে এলাম। আসার আগে নাহিদ আপার সাথে দেখা করে বললাম, সব ব্যবস্থা হয়েছে, কাল থেকে আপনার কাজ শুরু হোক। আপা কিছুটা অবিশ্বাসের সাথেই বললেন, ওরা কতটুকু সহযোগিতা করে দেখা যাক।

ওরা পোড় খাওয়া মানুষ। সবাই ওদের ব্যবহার করে। রাজনীতিবিদ, প্রশাসন, পুলিশ, এনজিও। নিজেরা ব্যবহার করে, কখনও উপরমহলের জন্য। হুকুম দিলেই এরা যেতে বাধ্য। অথচ অসম্মানের চূড়ান্ত করতে কেউ কম যায় না। রাতের আঁধারে যারা কাছের, দিনের আলোতে তারাই আবার অচ্ছুৎ! কথাগুলো ওদের। স্যার, আমরা আছি বলেই আপনাদের ভদ্রসমাজের নারীরা ঘরে, অফিসে, রাস্তায় নিরাপদে চলতে ফিরতে পারছে। আমরা না থাকলে ভদ্রবেশি পুরুষগুলো জানোয়ার হয়ে ছিড়েখুঁড়ে ফেলতো। অথচ আপনারা আমাদের ঘেন্না করেন।। আমরা ক্যামনে বাচিঁ, অসুখে-বিসুখে চিকিৎসার কি সুযোগ পাই, অসুখবিসুখ থেকে বাঁচার উপকরণ কোথায় পাই, কেউ খোঁজ নেয়?

ফেরার পথে কানে ভাসছিলো এই কথাগুলো। কিভাবে কাটে এদের দিন আর রাতগুলো? প্রকৃতির নিয়মে দিনের পর রাত আসে সবার জন্য প্রশান্তি নিয়ে। ওদের রাত আসে নরক যন্ত্রণা হয়ে। দিন আসে, কিন্তু আঁধার কাটেনা। এভাবে কি বাঁচা যায়? ভদ্র সুশীল কোনো যুবকের ভালোবাসার মিথ্যে আশ্বাসে বিশ্বাস করে এদের কেউ বিক্রি হয়ে কেউ এসেছিলো এই নরকে। পরম আস্থার পরিবার কাউকে এখানে পাঠিয়েছে কিছু টাকার জন্য। কেউবা সংসারের অশান্তি আর চরম নির্যাতন থেকে বাঁচতে ক্ষণিকের ভুলে এই অন্ধকার জগতে ঠাঁই নিয়েছে। ইচ্ছে করে কেউ এই জগতে আসে না। ইচ্ছে করে এদের কাছে যায় নষ্ট পুরুষরা। অথচ সব অসম্মান, নির্যাতন, শোষণ আর বদনাম শুধু এদের।

বিজ্ঞাপন

এদের নিকষ কালো আঁধার জীবনেও এরা পিদিমের আলো খুঁজে বেড়ায়। অমানুষদের মাঝে থেকেও এরা মনুষত্ব হারিয়ে ফেলেনি। তাই নিজের সম্মান বিক্রি করে কেউ পরিবারের জীবনরেখা বাঁচিয়ে রাখে। সবাই হয়তো জানে, গার্মেন্টসে কাজ করে মেয়ে টাকা পাঠাচ্ছে। ছুটি পায়না, তাই বাড়ি আসতে পারে না। কেউ কেউ স্বপ্ন দেখে সন্তানকে নিয়ে। বাড়তি নির্যাতন সয়ে এনজিওর স্কুলে পাঠায় ছেলেকে, মেয়েকেও। নিজের পঙ্কিল জীবন যেন ওদের ছুঁতে না পারে। বৈরী পরিবেশেও আশা নিয়ে বাঁচে। সাহসী হয় অনাগত সুন্দর ভবিষ্যতের আশায়।

কত মিথ্যেকারের সাহসিকাদের জয়গান আমরা গাই মিডিয়াতে, সামাজিক মাধ্যমে। কে কত সাহসী হয়ে সংসার ছাড়লো, কে কতবার ভাইরাল হলো। ব্রেভগার্ল! বোল্ড! দূর থেকে আমরা বাহবা দেই। আঁধার জগতের সত্যিকারের সাহসিকাদের কথা কেউ বলি? ওরা করপোরেট জগতের উপরে উঠার সিঁড়ি কিংবা টালিউড, বলিউড, হলিউডের রূপালী জগতের মোহে এই পথে বাড়ায়নি। ভদ্রবেশি শয়তানদের কারণে নানাভাবে এই জগতে এসেছে, নিজের ইচ্ছায় নয়। সুশীল আমাদের ঠুলিপড়া চোখে ওরা সাহসিকা হবে কেন?

লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ক্যানসার ইপিডেমিওলোজি বিভাগ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট  ও  প্রধান সমন্বয়কারী, বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম

সারাবাংলা/আরএফ/

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন