বিজ্ঞাপন

দীপন হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন আজিজ মার্কেটের সাংগঠনিক সম্পাদক

December 29, 2019 | 7:01 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় আজিজ সুপার মার্কেট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মুরসালিন আহমেদ বিথুনের সাক্ষ্য নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ জানুয়ারি দিন নির্ধারণ করা হয়।

জবানবন্দিতে মুরসালিন বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর বিকেল ৪টার দিকে আমি আজিজ সুপার মার্কেটের মালিক সমিতির অফিসে বসে ছিলাম। আমিসহ মালিক সমিতির অন্যান্য সদস্যরা খবর পাই, জাগৃতি প্রকাশনীতে একটি ঘটনা ঘটেছে। এরপর গিয়ে দেখি প্রতিষ্ঠানের লোকজনসহ পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন। আমি উঁকি গিয়ে দেখি, প্রকাশক দীপনের মাথা টেবিলে। ওই সময় মেঝেতে রক্ত পড়ে ছিল দেখতে পাই। কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে তাকে (দীপন) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মুরসালিন আরও বলেন, এরপর আবার পুলিশ আজিজ সুপার মার্কেটের সমিতি অফিসে ফিরে আসি। এসময় আমার ও মার্কেটের অফিস সহকারীর উপস্থিতিতে মার্কেটের সিসি ক্যামেরার মনিটর, ডিভিআর, মাউস ও হার্ডডিস্ক আলামত হিসেবে জব্দ করে পুলিশ। জব্দ তালিকায় আমি সই করি।

বিজ্ঞাপন

জবানবন্দি দেওয়ার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরাও করেন।

এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর দীপন হত্যা মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আট জঙ্গির বিচার শুরুর আদেশ দেন।

চার্জশিটভুক্ত বাকি আসামিরা হলেন— মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ। আসামিদের মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক।

বিজ্ঞাপন

গত ১৯ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়। একই বছরের ১৫ নভেম্বর আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।

চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে হত্যা মিশনে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।

২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দীপনকে। একইদিন কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে ওই প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/টিআর

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন