December 30, 2019 | 9:03 pm
স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: রেফারির শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে মোহামেডানের বুনো উল্লাস। গ্যালারি ভেঙে সমর্থকরাও নিরাপত্তা বহরকে ফাঁকি দিয়ে মাঠে। উৎসবটা বুনো হওয়ার কারণও আছে। ক্যাসিনো কাণ্ডের পর ভাঙাচোরা দল গঠন করে জাদুর কাঠির ছোঁয়ায় বদলে গেছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। সিন লেনের কোচিংয়ে দলটি যে চার বছর পর ফেডারেশন কাপের সেমিতে। সাদা-কালোদের উল্লাসটা একটা প্রতিবাদেরও। সেই ব্যাখ্যাটা পরেই দেয়া যাক।
একদিকে প্রথম ম্যাচে জায়ান্ট আবাহনী যেখানে বিদায় নিয়েছে আন্ডারডগ রহমতগঞ্জের কাছে হেরে সেখানে দারুণ জয় দিয়ে সেমিতে উঠেছে তাদেরই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ২০১৫ সালের পর এবার শেষ চারে পা রেখেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফেডারেশন কাপ (১০বার) জয়ীরা।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান। ম্যাচের দুই নায়ক শাহেদ হোসেইন ও সোলেমানে দিয়াবাদে।
ম্যাচটা যে মোহামেডান দুরন্ত চট্টগ্রাম আবাহনীর জন্য কঠিন করে তুলবে সেটা নিকট অতীত পারফরম্যান্সই বলে দিচ্ছিলো। তবে এভাবে মোহামেডান জিতবে সেটাও বলা মুশকিল ছিল।
একদিকে গোছালো চট্টগ্রাম আবাহনী অন্যদিকে নতুন উদ্যমের হাইপ্রেসিং মোহামেডান। একদিকে মারুফুল হকের ছোঁয়ায় অপ্রতিরোধ্য হওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী। অন্যদিকে নড়বড়ে দল গড়েও সিন লেনের কোচিংয়ে নতুন উদ্যম পাওয়া দুরন্ত মোহামেডান। তাই এ ম্যাচেও যে আগুণ ছড়াবে মাঠে সেটা অনুমেয় ছিল।
ম্যাচটাও তাই ঝাঁঝ দিয়েই শেষ হয়েছে। প্রথম থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের পসরা দেখেছে সমর্থকরা। অপরাজিত নগরবন্দরীর দলকে প্রথম আঘাতটা দেয় মতিঝিলের জায়ান্টরা। ম্যাচে ২৫ মিনিটে শাহেদ হোসেইনের গোলে লিড নেয় মোহামেডান। পাঁচ মিনিটও পেরোয়নি। ব্যবধান দ্বিগুণ করে সাদা-কালোরা। পরে আর ব্যবধান কমাতে পারেনি মারুফুল হকের শিষ্যরা।
জয় নিয়ে চার বছর পর সেমিতে পা রেখেছে মোহামেডান। সেমিতে রহমতগঞ্জকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী দলটি।
আগামিকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) আরও দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ আছে। যেখানে সাইফ স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ও মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে লড়বে বসুন্ধরা কিংস।
সারাবাংলা/জেএইচ/এনএ