বিজ্ঞাপন

শিল্পকলার মঞ্চে ঢাকা থিয়েটারের ‘পুত্র’

January 4, 2020 | 7:06 pm

এন্টারটেইনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট

রবিবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়িত হচ্ছে ঢাকা থিয়েটারের ৪৭তম প্রযোজনা সেলিম আল দীনের আখ্যান ‘পুত্র’। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন মঞ্চকুসুমখ্যাত শিমূল ইউসুফ।

বিজ্ঞাপন

আত্নঘাতী পুত্র মানিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে পিতা সিরাজ মাইট্টাল ও মাতা আবছার কষ্ট, আহাজারি ,বিষাদ, বিরোধ এই আখ্যানে এক জটিল সমীকরনের সৃষ্টি করে। সেলিম আল দীনের সৃষ্টিশীল লেখনীর শক্তি ও নতুন নাট্যভাষার চমৎকারিত্বে চিরচেনা মানবজীবন হয়ে ওঠে পরাবাস্তব এক অদেখা জীবন। পুত্র বিয়োগের অব্যহতিতে জটিল এক মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়নে আখ্যানের চরিত্রগুলো আধুনিক কবিতার আদলে নির্মিত হতে থাকে মঞ্চে।

বিজ্ঞাপন

শিমুল ইউসুফের নির্দেশনায় ‘পুত্র’ নাটকে ঢাকা থিয়েটার সৃষ্ট বাঙলা নবনাট্য রীতির ও বর্ণানাত্মক অভিনয়রীতির সুষ্ঠু প্রয়োগ ঘটেছে। শিল্প নির্দেশনা আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান ইনস্টেলেশন শিল্পী ঢালি আল মামুনের। এবং আলোক পরিকল্পনা নাসিরুল হক খোকনের। এই নাটকে সুরারোপ করেছেন শিমূল ইউসুফ নিজেই। আবহ সঙ্গীত সাকি ব্যানার্জী । ক্যোরিওগ্রাফী এশা ইউসুফ। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন এশা ইউসুফ, মিলু চৌধুরী, আসাদুজ্জামান আমান, সামিউন জাহান দোলা, সাজ্জাদ আহমেদ রাজীব, রফিকুল ইসলাম, সউদ চৌধুরী, শাহজাদা সম্রাট চৌধুরী, তারেক আহমেদ।

‘পুত্র’ নাটক সম্পর্কে নির্দেশক শিমূল ইউসুফ জানালেন তার আবেগের কথা, ‘নতুন প্রজন্ম আজ সেলিম আল দীনের পুত্র কথা নাট্যে অভিনয় করবে। সেলিম ভাই লিখেছিলেন আমার আর দিলীপের মাতা-পুত্রের বন্ধন দেখে। কিন্তু সম্মুখ বাস্তবতায় বিশ্বাসী নাট্যকার ২০০৭ সালেই লিখে ফেললেন অকাল প্রয়াণ হবে আমার পুত্রের। দিলীপ চক্রবর্তী আমার প্রথম পুত্র সন্তান, যে মনেই করতো আমার গর্ভ থেকেই তাঁর জন্ম! আমাদের একসাথে অভিনয় করার কথা ছিল পুত্র নাটকে। নাট্যকার সেলিম আল দীনের অকাল প্রয়াণে মানসিকভাবে স্থবির হয়ে যাই আমরা। তারপর দিলীপও চলে যায় অনন্তলোকে! আবার কখনো কখনো মনে হয় পুত্র’র ‘সিরাজ মাইট্যাল’ আর ‘আবছা’ সেলিম ভাই (সেলিম আল দীন) আর পারুল ভাবী (বেগমজাদি মেহেরুন্নেসা)। তাঁদের একমাত্র পুত্র মাইনুল হাসান, যে জন্ম নেবার পর মাত্র ২০ মিনিট বেঁচে ছিল। ঐ অকাল মৃতপুত্র ‘মানিক’, পুত্র নাটকে এই যে স্বেচ্ছামৃত্যুকে গ্রহণ করে নিল সেই মানিক! সেই আমগাছটিতে প্রথম মুকুল এসেছিল। উঠতি বয়সী সন্তানের অপঘাতে মৃত্যুর পর সন্তানহীন পিতামাতার আহাজারি সে সন্তান কি অনুভব করে? অথবা যে সন্তান পিতা-মাতা, ভাইবোন, বন্ধু-বান্ধব পরিবার পেছনে ফেলে রেখে যায়- তাদের কী একবারও মনে হয়না, কিসের লাগি, কার লাগি এই সিদ্ধান্ত! তবুও সেই মৃত সন্তান পিতা-মাতার বুকের ভিতরেই থাকে, আসে যায়- কথা কয়, দুধভাত শবরীকলা খায়। আমি নির্দেশক নই, আমি অন্তর দিয়ে যা অনুভব করি তাই দেখনজনাদের অন্তরের সাথে ভাগাভাগি করে নেই, ভাগাভাগি করে নেই আমার সকল দুঃখ শোক …’।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এএসজি/পিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন