বিজ্ঞাপন

জোরালো হচ্ছে পুলিশ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি

January 5, 2020 | 10:00 am

উজ্জল জিসান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: এবারও পুলিশের জন্য পৃথক মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার জোরালো দাবি তুলে ধরবেন বাহিনীর সদস্যরা। গত বছর পুলিশ সপ্তাহে এই দাবির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই একমত হলেও একবছরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। একাধিক পুলিশ সদস্যদের দাবি, সব বাহিনীরই পৃথক মেডিকেল কলেজ থাকলেও পুলিশের নেই। তাই পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারের জন্য একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা এখন সবার দাবিতে পরিণত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অনেক দিন ধরেই পুলিশের জন্য পৃথক একটি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জোর দাবি জানানো হচ্ছিল। গত বছর পুলিশ সপ্তাহে এটি আরও জোরালো হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক মন্ত্রী ও সরকারের ঘনিষ্ঠরা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি পূরণে প্রতিশ্রুতিও দেন। এমনকি প্রধানমন্ত্রীও এই দাবি পূরণে সায় দেন। তবে কবে নাগাদ এই মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা।

পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) মো. সোহেল রানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাহিনীর পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট করে কোনো দাবি তোলা হয় না। সাধারণত কর্মকর্তাদের আলোচনায় বৈঠকগুলোতে সমস্যা ও সংকট নিরসনে নানা বিষয় উঠে আসে। আলোচনায় আসা বিষয়গুলোই পরবর্তীতে ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে।’

মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা এখনও আগের জায়গাতেই রয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা এ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।’

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ সপ্তাহ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশ সদর দফতর সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পৃথক বৈঠক করেছেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী পুলিশ সদর দফতরে সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেখানে অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজিসহ মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনাররা উপস্থিত ছিলেন।

সেই বৈঠকে উপস্থিত পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ বাহিনীর দুই লাখ সদস্যের জন্য রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকলেও নিজস্ব কোনো মেডিকেল কলেজ নেই। অথচ অন্যান্য বাহিনীর মেডিকেল কলেজ রয়েছে, সেখানে বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও পরিবারের সদস্যরা সুবিধা পেয়ে থাকেন। বাহিনীর সদস্যদের ছেলে মেয়েদের জন্য আলাদা কোটা বরাদ্দ থাকে। অথচ পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা এই ক্ষেত্রে বঞ্চিত থাকছেন।’

তবে নিজস্ব মেডিকেল কলেজ ছাড়াও আবাসন ও যানবাহন সুবিধা, ঝুঁকি ভাতা, রেশন ও জনবল বাড়ানোর দাবিও রয়েছে পুলিশের।

বিজ্ঞাপন

আগামীকাল ৫ জানুয়ারি রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সদস্যদের বর্ণাঢ্য প্যারেডের মধ্য দিয়ে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৫ দিন ব্যাপী পুলিশ সপ্তাহের বর্ণাঢ্য এ আয়োজন শেষ হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১৮ জন পুলিশ সদস্যকে বিশেষ অবদানের জন্য বিপিএম-পিপিএম পদক তুলে দেবেন।

এছাড়া পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে প্রায় ৫০০ জন পুলিশ সদস্যকে আইজিপি পদক দেওয়ার কথা রয়েছে।

সারাবাংলা/ইউজে/এমও/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন