বিজ্ঞাপন

প্রতীক বরাদ্দের আগেই আতিকুলের নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন!

January 5, 2020 | 3:22 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আগামী ১০ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু করার কথা থাকলেও পাঁচ দিন আগেই নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলাম। প্রতীক বরাদ্দের আগেই তার এই নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, এখন পর্যন্ত কেউই নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী নন এবং প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রচারণাও চালাতে পারবেন না।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৫ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর উত্তরার চার নম্বর সেক্টরে আতিকুল ইসলামের নির্বাচিন অফিস উদ্বোধন করেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন।

আরও পড়ুন- আতিকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তাবিথের

এর আগে, শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাতেই আতিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয় সাংবাদিকদের কাছে। সেখানে বলা হয়, ‘৫ জানুয়ারি ২০২০, রোববার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে আওয়ামী লীগ মনোনীত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের উত্তরা শাখার (বাংলাদেশ ক্লাব: বাড়ি নম্বর ১৩, রোড-৯, সেক্টর ৪, উত্তরা, ঢাকা) নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহারা খাতুন ছাড়াও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত থাকবেন।’

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আতিকুল ইসলামের একান্ত সচিব সাইফুদ্দিন ইমন সারাবাংলার কাছে নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উত্তরা শাখার নির্বাচনি অফিস উদ্বোধন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহারা খাতুন।’

নির্বাচনি আইন অনুযায়ী প্রতীক পাওয়ার আগে এভাবে নির্বাচনি কার্যালয় উদ্বোধন করা যায় কি না এবং এ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুদ্দিন ইমন বলেন, ‘এখানে প্রচারণা চালানো হয়নি। এটা তো আসলে দোয়া মাহফিল ছিল।’

প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনি ক্যাম্প উদ্বোধন আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না— জানতে চাইলে ডিএনসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা দেখি আগে। আমার একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আছে, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে আপনাদের জানাব।’

বিজ্ঞাপন

অফিস উদ্বোধনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে— এমন প্রশ্নের জবাবে আবুল কাসেম বলেন, ‘প্রমাণিত হলে আমাদের যে বিধিবিধান আছে, সেটার আলোকেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

নির্দিষ্ট সময়, তথা প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রার্থীরা এ ধরনের কাজ করতে পারেন কি না— জানতে চাইলে এই রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা তো আমি এখনো জানি না। আমার কথা হলো— একজন প্রার্থী হবেন নির্বাচনি প্রতীক পাওয়ার পরে। এখনো কেউ-ই কিন্তু প্রার্থী না। কারণ ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন।’

আবুল কাসেম আরও বলেন, ‘নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন ১০ জানুয়ারি থেকে। তারা তো ক্যাম্প করছে, প্রচার তো চালাচ্ছে না। যদিও আমি এর সত্য-মিথ্যা জানি না। তবে কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে পারবে না। এখন পর্যন্ত ঢাকা শহরের পরিবেশ অনেক ভালো আছে। আমরা চাই, একটা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনটা হোক।’

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ২২ নম্বর ধারা ১ নম্বর উপধারা অনুযায়ী, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায়-প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচনি আচরণ বিধি অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার কাজ শুরু করতে হবে। আর তা বন্ধ করতে হবে ভোটগ্রহণ শুরু ৩২ ঘণ্টা আগে।

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন