বিজ্ঞাপন

দুর্নীতিবাজ যেই হোক, ছাড় নয়— ফের হুঁশিয়ারি প্রধানমন্ত্রীর

January 7, 2020 | 7:54 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ধরে রাখার প্রত্যয় ফের ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতিবাজ যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। দুর্নীতি নির্মূলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রতিও প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন, অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনকারী প্রত্যেকে যেন তারা আইনের আওতায় নিয়ে আসে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমি আবারও সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই— দুর্নীতিবাজ যেই হোক, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। দুদকের প্রতি আহ্বান থাকবে— যেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত থাকুক, তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। সাধারণ মানুষের ‘হক’ যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন- ‘মুখরোচক প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাসী নই’

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বর্তমান সরকারের একবছর পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইশতেহারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির অঙ্গীকার করেছিল ক্ষমতাসনীন আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের পর এক বছরপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণেও সেই অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আপনাদের স্মরণ আছে, গত বছর সরকার গঠনের পর জাতির উদ্দেশে ভাষণে আমি দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শোধরানোর আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। মানুষের কল্যাণের জন্য আমি যেকোনো পদক্ষেপ করতে দ্বিধা করব না। দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমি আবারও সবাইকে সতর্ক করে দিতে চাই— দুর্নীতিবাজ যেই হোক, যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

আরও পড়ুন- জাতির জীবনে নতুন জীবনীশক্তি সঞ্চারিত করতেই মুজিববর্ষ উদযাপন

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সম্প্রসারণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির নির্মূল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি বন্ধে জনগণের অংশগ্রহণ জরুরি। মানুষ সচেতন হলে দুর্নীতি আপনা-আপনি কমে যাবে।

জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, ইসলাম ধর্মের অপব্যাখ্যা করে কেউ যেন তরুণদের বিপথে পরিচালিত করতে না পারে, সেজন্য মসজিদের ইমামসহ ধর্মীয় নেতাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সারাদেশে ৬৫০টি মজজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে হিংসা-বিদ্বেষ হানাহানি থাকবে না। সব ধর্ম-বর্ণ ও সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবেন। সবাই নিজ নিজ ধর্ম যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করতে সক্ষম হচ্ছেন।

আরও পড়ুন- জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। আমরা সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমরা বিশ্বাস করি, জনগণের রায়ই হচ্ছে ক্ষমতার পালাবদলের একমাত্র উপায়। যেকোনো শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে অযৌক্তিক দাবিতে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডকে আমরা বরদাশত করব না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এর আগে আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা দেখেছেন আপনারা। বাংলাদেশের মাটিতে এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি আর হতে দেওয়া হবে না।

এর আগে, সোমবার (৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিবের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের একবছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের বিষয়টি গণমাধ্যমে জানানো হয়। এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর গত বছরের ২৫ জানুয়ারি সবশেষ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন