বিজ্ঞাপন

জবাবদিহিতার জন্য প্রস্তুত আছে পুলিশ: স্বরাষ্টমন্ত্রী

January 8, 2020 | 1:15 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নতুন পদ সৃষ্টি, গাড়ি সংকট এবং মামলার জট নিয়ে পুলিশের মাঝে সৃষ্ট অসন্তোষ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘এসব সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তিনি গঠিক রিভিউ কমিটি আরও যুগোপযুগী করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এটা নিয়ে কাজ করা হবে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন মাঠে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে ‘অপ্রাপ্তি’র বিবরণ পুলিশ কর্মকর্তাদের

প্রায় ২ ঘণ্টার এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামালের কাছে আইজিপি, র‍্যাব ডিজি ও বেশ কয়েকজন ডিআইজি এবং এসপি পুলিশের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে ক্ষোভ ও অসন্তষ্টি প্রকাশ করেন।

বিজ্ঞাপন

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশ কিন্তু প্রকৃত অর্থেই জনগণের পুলিশ হচ্ছে। আগের পুলিশ আর এখনকার পুলিশ এক নয়। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশকে সেভাবেই সাজানো হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু পুলিশকে জনগণের পুলিশ হতে আহ্বান জানিয়েছিলেন। আমরা ধীরে ধীরে সেই দিকেই যাচ্ছি। সেবার মান যাতে বৃদ্ধি করতে পারি সেজন্য সব ধরনের পুলিশ গড়ে তোলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু এ পুলিশেরও রয়েছে নানা সীমাবদ্ধতা। অথচ দিন শেষে সবার নজর থাকে পুলিশ কি করেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি করলো। তবে আমরাও অনেক রকমভাবে তৈরি হচ্ছি। জবাবদিহিতার জন্য পুলিশ প্রস্তুত।’

‘আপনাদের দাবি দাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। তিনি রিভিউ কমিটি যুগোপযুগী করার নির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেমিনার করবো। মামলার জট নিয়ে কথা বলবো। এটা নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করবো। নতুন কিছু যোগ করা যায় কি না সেটিও দেখা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের যে কমিটি সেটা নিয়েও কথা বলবো। অধিদফতরকে বলবো পুলিশের আইজি, ডিআইজি এসপিসহ বর্ডার গার্ডের চিফকেও কমিটিতে যেন নিয়ে আসা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে যদি অধিদফতর একাই কাজ করতেন তাহলে তো সুরক্ষা বিভাগের দরকার ছিল না। এটাতো পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি অধিদফতর সবাই মিলে কাজ করছে। তাই জাতীয় পর্যায়ের এই কমিটি রিভিউ করতে বলবো।’

বিজ্ঞাপন

স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, আর্মির মেডিকেল কোরের মতো পুলিশের জন্যও একটি মেডিকেল কোর করার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেটাও হবে। আমরা ভীষণভাবে ডাক্তারের অভাবে আছি। সেজন্য হলেও এটা দরকার। গাড়ির সমস্যা নিরসনে নতুন অপারেশনাল কাজে উপযুগী ও গাড়ির মডেল রিকুইজিশন পাঠান আপনারা (পুলিশ)। আমরা সেগুলো যাছাইবাছাই করে আপনাড়ের জন্য উপযুক্ত গাড়ি বরাদ্দ দিবো। যাতে করে কাজ আরও ত্বরান্বিত হয়।’

এরআগে, সিনিয়র স্বরাষ্ট্রসচিব মোস্তফা কামাল বলেন, ‘পুলিশের যে ভূমিকা তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। পুলিশের সুবিধা বাড়ানো মানে গণতন্ত্রের সুবিধা। একজন মানুষ বিপদে পড়লে প্রথমে পুলিশের কাছে যায়। আমরা রাজনৈতিক সরকারের অধীনে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। সংসদ সদস্যদের জবাবদিহিতা সংসদে কিন্তু আমাদের জবাবদিহিতা কিন্তু সংসদে নয় জনগণের কাছে।’

তিনি আর বলেন, ‘বিচার বিভাগ, দুদক, তথ্য কমিশন, নির্বাচন কমিশন সবাই স্বাধীন। কিন্তু সবাই যখন স্বাধীন হয়ে যায় তখন রাষ্ট্র পরাধীন হয়ে যায়। সবার স্বাধীনতা ঠিক না। সেমিনার করে এসব ব্যাপারে কথা বলতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সব দোষ কেন পুলিশের হবে। প্রত্যেকটা আইন করার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত পা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস একটা আইন করেছে। সেটার বিরুদ্ধে আমি কথা বললেও সেটা বলতে পারেন অর্ধেক পাশ হয়ে গেছে। কোনো একটা অবৈধ জিনিস কারও হাতে থাকলে যেটার কাস্টমস ডিউটি দেওয়া হয়নি সেটা তালাশ করতে করতে মৃত্যু ঘটাতে পারবে। এটা কোন আইনে আছে? দৌড়াতে দৌড়াতে একটা মানুষকে মেরে ফেলতে পারবেন? কোনো বিমানে যদি অবৈধ পণ্য থাকে তাহলে সেটা গুলি করে নামাতে পারবেন। এমন আইন। অথচ পুলিশ যখন আসামিকে ইন্টারগেট করা অবস্থায় মারা যায় তখন আবার পুলিশ দোষী হয়ে যায়। পুলিশ আসামি হয়ে যাচ্ছে তাহলে সে ভয়ংকর আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না। এসব আসলে দেখা দরকার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/এমআই

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন