বিজ্ঞাপন

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার ধর্ষক, শনাক্ত করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থী

January 8, 2020 | 9:08 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রাজধানীর কুর্মিটোলা এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব)। ওই ব্যক্তিই ধর্ষণ করেছিলেন বলে শনাক্ত করেছেন ধর্ষণের শিকার ঢাবি শিক্ষার্থী। তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনো প্রকাশ করা হয়নি। র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ জানুয়ারি) র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারওয়ার বিন কাশেম সারাবাংলাকে ধর্ষককে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর একজন স্বজন সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন, ওই শিক্ষার্থী ধর্ষককে শনাক্ত করেছেন।

আরও পড়ুন- ঢাবি শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ: র‍্যাবের নজরদারিতে ৩ জন

ধর্ষণের ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজন র‌্যাবের নজরদারিতে ছিল, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আটকও করা হয়। র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদের পর ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী শনাক্ত করার পর তাদেরই একজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ওই ঢাবি শিক্ষার্থীর সঙ্গে অবস্থানরত একজন স্বজন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, বুধবার সকালে র‌্যাবের হাতে আটক ব্যক্তির ছবি দেখানো হয় ওই শিক্ষার্থীকে। ওই ব্যক্তিই তাকে ধর্ষণ করেছেন বলে শনাক্ত করেছেন ওই শিক্ষার্থী।

সারওয়ার বিন কাশেম জানান, একই ঘটনায় আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাতে র‌্যাব-১-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাফিউল্লাহ বুলবুল বলেছিলেন, ‘আমরা তিন জনকে শনাক্ত করেছি। তারা আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। প্রকৃত ধর্ষক নিশ্চিত হওয়ার পর যেকোনো সময় অপরাধীকে গ্রেফতার করা হতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

ওই সময় র‍্যাব-১-এর একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে এক জনকে সন্দেহভাজন হিসেবে র‍্যাব হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাকে শনাক্ত করা গেলে গ্রেফতার দেখানো হবে।

র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, যাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।

গত ৫ জানুয়ারি বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই ঢাবি শিক্ষার্থী শেওড়া এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে রওনা দেয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানার কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে থামে। ওই শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পেছন থেকে তার গলা চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় ওই শিক্ষার্থী অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামি তাকে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরলে তাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। একপর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে রাস্তা পেরিয়ে রিকশা নিয়ে তার সহপাঠীর বাসায় যান। সেখান থেকে সহপাঠীদের সহযোগিতায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।

ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ওই ঢাবি শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে তিনি ভীষণভাবে ট্রমাটাইজড। তার চিকিৎসায় সাত সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন