বিজ্ঞাপন

‘আমাকে নয়, এটি ত্যাগীদের প্রতি নেত্রীর মূল্যায়ন’

January 9, 2020 | 8:44 pm

নৃপেন রায়, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মো. সাখাওয়াত হোসেন শফিক। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসেদের নব-নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক। জন্ম ১৯৭০ সালে বগুড়ায়। জেলা শহর বগুড়ায় পৈতৃক বাড়ি হলেও বর্তমানে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাস করেন তিনি। তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া (পান্না) বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

বিজ্ঞাপন

শফিক বগুড়ায় এসএসসি ও এইচএসসির পাঠ চুকিয়ে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রলীগের রাজনীতি সক্রিয় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি। এক পর্যায়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি (লিয়াকত-বাবু) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির সময় তিনি বিরোধী ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীদের হাতে অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়ে কয়েকবার গুরুতর আহত হন। রাবিতে ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে মারাত্মকভাবে গুলিবিদ্ধও হন তিনি। এমনকি গ্রেফতার হয়ে এক মাস কারাবন্দী ছিলেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০০২ সালে গ্রেফতার হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রায় চার মাস কারাবন্দী ছিলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নব নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক হয়ে সাখাওয়াত হোসেন শফিক সারাবাংলার কাছে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়া দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে চলার পথে যারা পাশে ছিলেন তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।

সাখাওয়াত হোসেন শফিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নেত্রী আমাকে না, এন্টি আওয়ামী জোন হিসাবে খ্যাত বগুড়া এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মতো বিপদগ্রস্থ বাস্তবতায় যারা ছাত্র রাজনীতি করে এসেছে তাদেরকেই মূল্যায়ন করেছে। এটি আমার মূল্যায়ন না, আমার প্রাপ্য না; এটি সাবেক ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতাদের প্রতি মূল্যায়ন।’

বিজ্ঞাপন

‘সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আপনার অঙ্গীকার কী হবে?’ এমন প্রশ্নের জবাবে শফিক বলেন, ‘আমি অবশ্যই চাই যে, বর্তমান সরকার প্রধান আমদের দলীয় সভানেত্রী যে মিশন এবং ভিশনকে সামনে রেখে নতুন প্রত্যয় ব্যক্ত করে সরকার পরিচালনা করছেন, সেই মিশন-ভিশনে আমি তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। আমার প্রতি রাখা আস্থা-বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করব।’

‘আমার চেষ্টা হবে, যে ছাত্র রাজনীতির ছায়াতলে বেড়ে উঠেছি, সেই সংগঠনের সাবেক ছাত্রনেতা যারা রাজনীতির মাঠে সক্রিয় রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাব। নেত্রী আমার রাজনৈতিক জীবনের সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করেছেন, আমি নেত্রীর সেই আস্থা-বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা করব।’- বলেন শফিক।

নতুন দায়িত্ব পাওয়া সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, ‘সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে নেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে আধুনিক সমাজ গড়তে শিক্ষিত তরুণ সমাজকে মাদক, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তবেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনিমার্ণে নেত্রীর অক্লান্ত পরিশ্রম সফল হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন