বিজ্ঞাপন

জুমার নামাজে লাখো মুসল্লির সমাবেশ

January 10, 2020 | 3:08 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিশ্ব ইজতেমা ময়দান থেকে: ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শুরুর দিন এক লাখের বেশি মুসল্লি একসঙ্গে জুমার নামাজ পড়েছেন।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জুম্মার নামাজের ইমামতি ও জুমাপূর্ব বয়ান করেন আলমি শুরার সদস্য, কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা মোহাম্মদ জুবায়ের।

নামাজের খুৎবা শুরু হয় দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে। পৌনে ২টায় শুরু হয় নামাজ।

জুমার বয়ানে ছিলো দেশ জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা। পাশাপাশি মুসল্লিদের কণ্ঠে ছিল ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান।

বিজ্ঞাপন

নামাজে অংশ নিতে সকাল থেকেই দলে দলে আসেন মুসল্লিরা। বেলা ১২টার আগেই ইজতেমা ময়দানের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ইজতেমা মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসল্লিরা আশাপাশের রাস্তা, দোকান এমনকি বাসাবাড়ির ছাদ থেকেও নামাজে অংশ নেন।

জুমার আগ থেকেই র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেলিকপ্টার পুরো তুরাগ তীরের আকাশ টহল দেয়।

নানান ভোগান্তি পেরিয়ে ইজমেতায় যোগ দিতে আসলেও কোনো অভিযোগ নেই মুসল্লিদের।

বিজ্ঞাপন

গাজীপুর থেকে এসেছেন রফিক ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় জুমার নামাজে লাখো মুসল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারার আনন্দই অন্যরকম। কিছুটা কষ্ট হলেও এটাকে কষ্ট ভাবছি না। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য এই কষ্ট কোনো কিছুই নয়। আমি অভিভূত এক লাখ মুসল্লির সঙ্গে নামাজ আদায় করতে পেরে।’

জুমার নামাজের পর মাঠে আম বয়ান করেন শেখ ইউনুস আলী তিউনিসি, আসরের নামাজের পর বয়ান করবেন শায়খ মাওলানা ইহসানুল হক, বাদ মাগরিব আলমি শুরার সদস্য ও তাবলিগের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা আহমদ লাট বয়ান করবেন।

এদিকে ইজতেমা মাঠের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে নতুন ১৪টি খিত্তা যুক্ত করার মাধ্যমে মাঠের পরিধি বাড়ানো হয়েছে। আর পুরো ইজতেমাকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। ৬৪ জেলার মুসল্লিরা মাঠে এলাকাভিত্তিক নির্ধারিত জায়গায় (খিত্তা) অবস্থান করবেন। কিন্তু মাঠে মুসল্লিদের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

এবার পুরো ইজতেমা ময়দানে ৪৫০টি সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা। মাঠের প্রবেশপথে ও আশপাশের এলাকায় রয়েছে সাদাপোশাকের পুলিশ। দায়িত্বপালনে প্রস্তুত জেলা প্রশাসনের ৩০টির মতো ভ্রাম্যমাণ আদালত। মাঠে নিয়োজিত থাকবে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল। তুরাগ নদীতে স্পিডবোট, ড্রোন ও হেলিকপ্টারে টহলের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তাবলিগের নিজস্ব কর্মীরাও মাঠে নিয়োজিত রয়েছেন।

লাখো মুসল্লিতে কানায় কানায় পূর্ণ টঙ্গীর তুরাগ তীর

আর মুসল্লিদের ব্যবহারের জন্য ৩১টি ভবনে আছে ৮ হাজার ৩৩১টি শৌচাগার। ১৭টি গভীর নলকূপ দিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে পানি। তিনটি গ্রিড থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে মাঠে। মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ১০টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হয়েছে

মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ময়দানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় ২০১১ সাল থেকে টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা তিনদিন করে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। তবে ২০১৮ সালে মুসল্লিদের দুই পক্ষের বাদানুবাদ ও সংঘর্ষের ঘটনার পর আলাদাভাবে দুই গ্রুপ ইজতেমার আয়োজন করছে। ১২ জানুয়ারি জোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে জোবায়ের গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা। ৪দিন বিরতির পর ১৭ জানুয়ারি শুরু হবে সা’দ অনুসারীদের ইজতেমা। ১৯ জানুয়ারি আখেরি মোনাজতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২০ সালের দুই গ্রুপের দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা।

সারাবাংলা/এসজে/এসএমএন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন