February 21, 2018 | 6:11 am
আসাদ জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
শহীদ মিনার থেকে: একুশের প্রথম প্রহরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পরম শ্রদ্ধায় যে রাশি রাশি ফুল শহীদ মিনারের বেদিতে রেখে গেছে সেগুলো দিয়ে এই মুহূর্তে চলছে বাংলাদেশের মানচিত্র রচনার কাজ।
ন্যাশনাল প্রেস সোসাইটি, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, লাইব্রেরি ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র, কামরাঙ্গীচর তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী সমবয় সমিতি, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অপরাধ দমন সংস্থা, ঢাকাবাসী মণিপুরী, বাংলাদেশ কর্মসংস্থান আন্দোলন, দ্যা ন্যাশনাল এসোসিয়েশন অব অ্যালেক্স ক্লাব, ম্যাজিশিয়াপ ফেডারেশন অব বাংলাদেশ, আইডিয়াল কলেজসহ কয়েক শত ছোট বড় প্রতিষ্ঠানের হাজার হাজার ফুল স্বেচ্ছাসেবকদের হাতের ছোঁয়ায় হয়ে উঠেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের গর্বের মানচিত্র। যে মানচিত্রের প্রথম সোপান রচনা হয়েছিল একুশে ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে।
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা, প্রধান বিচারপতিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেওয়া ফুলের তোড়াগুলো শহীদ মিনারের মূল বেদিতে যত্নের সাথে সাজিয়ে রেখে অন্যান্য তোড়া থেকে খসে পড়া ফুল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মানচিত্র, আলপনা, বাংলাদেশের পতাকা-- আরও কত কী!
আর এ কাজে সুচারুরূপে সম্পন্ন করছে রোভার স্কাউট, এয়ার রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
কথা হয় জয়পাড়া ডিগ্রি কলেজের রোভার সদস্য আমিনুল ইসলাম মেহাদের সঙ্গে। হাটুগেড়ে বসে ফুলের আলপন আঁকতে ব্যস্ত আমিনুল সারাবাংলাকে বলেন, 'শ্রদ্ধার ফুলগুলো যেন অশ্রদ্ধায় মাটিতে না লুটাই সে জন্য সবাই মিলে আলপনা আঁকছি। প্রভাত ফেরির আগেই এই কাজ সম্পন্ন করব।
একই কলেজের রোভার স্কাউট সদস্য সৈকত মাদবর বলেন, যতক্ষণ এখানে আছি ততক্ষণ শ্রদ্ধার ফুলের সম্মান রক্ষার দায়িত্ব আমাদের। ফুলগুলো এবরো থেবরো অবস্থায় রেখে দিলে মানুষের পায়ের তলায় পিষ্ট হতে পারে। কিছু একটা তৈর করতে পারলে সহজে কেউ সেটির ওপর পা দেবে না।
কবি নজরুল কলেজে রোভার স্কাউট সদস্য মো. জুবায়ের ইসলাম বলেন, শ্রদ্ধার ফুল দিয়ে মানচিত্র, পতাকা, আলপনা আঁকা একুশের আনুষ্ঠানিকতারই অংশ। আমাদের অগ্রজরা এ কাজ করে গেছেন। তাদের ধারাবাহিকতায় আমরা করছি। ভবিষ্যতে যারা এখানে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করতে আসবেন তারাও এই দায়িত্ব পালন করবে।
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির এয়ার রোভার স্কাউটের সদস্য মোস্তাক আহমেদ বলেন, প্রভাত ফেরিতে যারা আসবেন তাদের জন্য ভালো কিছু তৈরি করে রাখছি। যেন তারা অভিভূত হয়।'
সারাবাংলা/এজেড/এমআই