বিজ্ঞাপন

এলিমিনেটরে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন মুখোমুখি চট্টগ্রামের

January 12, 2020 | 9:46 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু বিপিএলের নক আউট পর্বের শুরু। প্রথম দিনেই রয়েছে দু’টি ম্যাচ। নক আউট পর্বের দুই ম্যাচের মধ্যে প্রথম ম্যাচটি এলিমিনেটর। অর্থাৎ গ্রুপ পর্বের তৃতীয় এবং চতুর্থ দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে এলিমিনেটরের ম্যাচটি। বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।

বিজ্ঞাপন

গ্রুপ পর্বের নিজেদের ১২টি ম্যাচের মধ্যে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন ৭ ম্যাচে জয় আর ৫টিতে হেরে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলো। অন্যদিকে নিজেদের ১২ ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে জয় আর ৪টিতে হেরে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

                           পড়ুন: ফাইনালে উঠতে প্রথম কোয়ালিফায়ারে লড়বে খুলনা-রাজশাহী

আর বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী গ্রুপ পর্বের তৃতীয় এবং চতুর্থ দল এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হবে। আর প্রথম দুই দল খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ার। অর্থাৎ প্রথম দুই দলের মধ্যকার ম্যাচে যে দলটি জয় পাবে তারা খেলবে সরাসরি ফাইনালে। আর হেরে যাওয়া দলের জন্য থাকছে আরো একটি সুযোগ। এলিমিনেটরে জয়ী দলের বিপক্ষে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খেলবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দলটিকে। আর এই ম্যাচের জয়ী দলই খেলবে ফাইনালে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার প্রথমে এলিমিনেটরের ম্যাচে যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন লড়বে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পরাজিত হয়েছে দু’দলই। মাশরাফি বিন মুর্ত্তজার দলকে রেকর্ড গড়ে হারিয়েছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। আর রাজশাহী রয়্যালসের কাছে হেরেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

এলিমিনেটরে প্রথম ম্যাচে গ্রুপ পর্বের প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে থাকবে ঢাকা। গ্রুপ পর্বের দুই ম্যাচেই ঢাকাকে হারিয়েছিল চট্টগ্রাম। প্রথম ম্যাচে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চ্যালেঞ্জার্সদের দেওয়া ২২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২০৫ রানে থেমেছিল ঢাকা। আর দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকার দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্য ছয় উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় চট্টগ্রাম।

এই ম্যাচ তাই ঢাকার কাছে প্রতিশোধের ম্যাচ। আর সেই সঙ্গে ফাইনালে যাওয়ার আরো একটি পথ। শক্তিমত্তায় দুই দলের কেউই একে অন্যের থেকে পিছিয়ে নয়। সমানে সমান লড়াই হবে ময়দানে। তবে মাঠের পারফরম্যান্সে যারা এগিয়ে যেতে পারবে তারা হাসবে বিজয়ের হাসি।

বিজ্ঞাপন

ব্যাট হাতে ঢাকা প্লাটুনের সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল, ১১ ম্যাচে তিন অর্ধশতকে নামের পাশে যুক্ত করেছেন ৩৯৩ রান। চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তামিমের অবস্থান ষষ্ঠ। আর ঢাকার দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান মুমিনুল হকও ৯ ম্যাচ খেলে করেছেন ২৬৬ রান। অন্যদিকে চলতি বিপিএলটা যেন স্বপ্নের মতো কাটছে ইমরুল কায়েসের। ব্যাট হাতে রানের ফুলঝুরি ছোটাচ্ছেন চট্টগ্রামের জার্সি গায়ে তুলে। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে রান সংগ্রাহকের তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছেন চট্টগ্রাম দলপতি ইমরুল কায়েস। ১১ ম্যাচ খেলে ইমরুলের সংগ্রহ ৪০৫ রান। ৫৭.৮৫ গড়ে ইনিংস সেরা রান তাঁর ৬৭*। সেই সাথে রয়েছে ৪ টি অর্ধশতকও।

বল হাতে ঢাকার হয়ে সর্বোচ্চ ১১টি উইকেট নামের পাশে যুক্ত করেছেন মেহেদী হাসান। তবে ঢাকার বোলাররা নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে না পারলেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে বিপিএল মাতিয়েছেন দুই টাইগার বোলার মেহেদী হাসান রানা এবং রুবেল হোসেন। সাগরিকার দলের এই বোলার চট্টলার জার্সি গায়ে খেলেছেন মাত্র ৮ টি ম্যাচ। এই ৮ ম্যাচ খেলেই এযাবৎ নিয়েছেন ১৭ টি উইকেট। যেখানে রয়েছে ২৩ রানে ৪ উইকেট নেবার অনন্য এক ম্যাচ। সেরা ৫ বোলারদের ভেতর তাঁর ইকোনোমি রেট সবচেয়ে কম। ৬.৯৬ ইকোনোমি রেট তাঁর। চট্টলার রুবেল হোসেন রয়েছেন সেরাদের দৌড়ে পাঁচ নম্বর অবস্থানে। ১১ ম্যাচ খেলে ৭.১৫ ইকোনোমি রেটে উইকেট নিয়েছেন ১৬ টি। ইনিংস সেরা বোলিং ফিগার রয়েছে তাঁর ৩/১৭।

অর্থাৎ দুই দলের ম্যাচটিতে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে তা সন্দেহাতীত। সুযোগ থাকছে দুই দলের সামনেই ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখতে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন