বিজ্ঞাপন

প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ: অর্থমন্ত্রীকে অ্যাটর্নি জেনারেলের চিঠি

January 12, 2020 | 8:48 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের প্রক্রিয়া নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের বর্তমান প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনটি নীতি অনুসরণ করার অনুরোধও জানিয়েছেন রাষ্ট্রের এই প্রধান আইন কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

গত ৭ জানুয়ারি অ্যাটর্নি জেনারেলের সই করা ওই চিঠি রোববার (১২ জানুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

অ্যাটর্নি জেনারেলের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, অধিদফতর, পরিদফতর, ব্যাংক-বীমাসহ সরকারি-আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তাদের প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল ও দেওয়ানি আদালতের জন্য বেসরকারি প্যানেল আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আইন মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছাড়পত্র নিয়ে নিযুক্ত এসব আইনজীবীদের কর্মপন্থা হিসেবে বিভিন্ন সরকারি আইনজীবীদের সহযোগিতা করে রাষ্ট্রীয় স্বার্থ রক্ষার্থে মামলা করার জন্য বলা হচ্ছে।

অ্যটর্নি জেনারেল চিঠিতে বলেন, দেখা যাচ্ছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের অধিকাংশই ২০ থেকে ২৫টি বা তারও বেশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাচ্ছেন। তারা মূলত বেশি বেশি প্রতিষ্ঠানে প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হয়ে রাজনৈতিক আদর্শ ভিন্ন হওয়ায় অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের সঙ্গে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে না পারায় সরকারি মামলা-মোকদ্দমা নিষ্পত্তি হচ্ছে না। সরকারি গোপন তথ্যও ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট আইন শাখাগুলোতে যোগাযোগ রক্ষা করে তারা দীর্ঘদিন এই পদগুলো দখল করে আসছে।

বিজ্ঞাপন

সরকারি প্রতিষ্ঠান প্যানেল আইনজীবীরা সরকারি মামলা-মোকদ্দমা পরিচালনা করলেও সুপ্রিম কোর্ট বার কিংবা বার অ্যাসোসিয়েশনগুলোতে ভিন্ন রাজনীতি করায় প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল। এ পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আইনজীবী প্যানেল নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দক্ষতাসম্পন্ন আইনজীবীদের বিবেচনায় নিয়ে তিনটি নীতি অনুসরণ প্রয়োজন বলেও মত দিয়েছেন তিনি।

নীতি তিনটি হলো— কোনো আইনজীবী দুই বা তিনটির বেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না; প্যানেল আইনজীবীর দক্ষতা ও মতাদর্শ নির্ধারণ করতে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মর্যাদার একজনকে নিয়োগ কমিটিতে বাধ্যতামূলকভাবে রাখতে হবে এবং তার মতামতকে প্রাধান্য দিতে হবে; এবং যারা প্যানেল আইনজীবী হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কর্মরত আছেন ও  নতুনভাবে নিয়োগ পাচ্ছেন, তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও ফোন নম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়কে অবহিত করতে হবে।

অ্যাটর্নি জেনারেলের এ মতের আলোকে বেসরকারি প্যানেল আইনজীবী নিয়োগের ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করে মতামতগুলো গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন মাহবুবে আলম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন