বিজ্ঞাপন

যুক্তরাষ্ট্রের স্যানফোর্ডে জমকালো পিঠা উৎসব

January 12, 2020 | 9:58 pm

পরবাস ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডার স্যানফোর্ড প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে হয়ে গেলো বাৎসরিক পিঠা উৎসব। গত ৪ জানুয়ারি আয়োজিত এই পিঠা মেলা আদতে বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। অতীতের সব পিঠা মেলার রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়ে এবার প্রথম মেলায় প্রদর্শিত হয় ১৪১ ধরনের পিঠা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ১০ জনকে বিজয়ীও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

পুরস্কারের মধ্যে ছিল স্বর্নের চেইন, মাইকেল কোরস ব্র্যান্ডের ব্যাগ ও জামদানি শাড়ি।

এছাড়া ছিল র‌্যাফেল ড্রয়ের আয়োজন। এর পুরস্কারের মধ্যে ছিল অরলান্ডো টু ঢাকা রাউন্ড ট্রিপ টিকেট, অ্যাপল ওয়াচ, আইপ্যাড। এছাড়া পিঠা উৎসবে যারা পিঠা তৈরি করে এনেছিলেন তাদের প্রত্যেককে একটি করে শাড়ি উপহার দেওয়া হয়।

প্রতিযোগিতার জন্য পিঠা গ্রহণ করেন বুলবুল আহমেদ, সাইদ হোসেন মিলন, জাহাঙ্গীর আলম,আলি আজগর, টুলু ভুইয়া এবং তাদের সহযোগিতা করেন টিটু বেপারী। পিঠার বিচারক ছিলেন সামসুর রহমান (সামু), আবেদ আমিৱ, ডা. রিপন,নাজমা বুলবুল, লিপি বেগম,সুলতানা আলম।

বিজ্ঞাপন

পিঠা উৎসবের অন্যতম সংগঠক সাইফুল ভুইয়া দুলুর তত্ত্বাবধানে এবং টনি হোসেনের সাবলীল উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হয়। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সানু, ফিরোজ আহমেদ, নান্টু চৌধুরি, রিপন, বাসার ভূঁইয়া, জাহাঙ্গীর আলম, আলি আজগর, সাদাত মিসু, বিদ্যুত হোসেন, সদরুল আলম, নুরুল ইসলাম টিপু, জহিরুল হক রয়েল, তাহের, তারেক খান, তারিকুল ইসলাম রফিকুল আবেদিন, টিটু বেপারী, আলম, তহিদুল আলম সবনম ভুইয়া, সোহেলী চৌধুরি, শাহানাজ রুনা, ঝর্ণা হোসেন, সুলতানা রুমি, লিপি প্রমুখ। এদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে পিঠা মেলা সফল হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন পল্লি ইসলাম, বাচ্চু ভুইয়া, বাদল ভুইয়া এবং সাহিনা গাফ্ফার সেতু। অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের নাচ ছিল সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এর পরিকল্পনা করেন সাহিনা গাফ্ফার সেতু। এবারের পিঠা মেলায় দর্শকদের একটু ভিন্ন রকম আনন্দ দেওয়ার জন্য আয়োজন করা হয় ধাঁধা প্রতিযোগিতা। রান্নার পুরো দায়িত্বে ছিলেন মাস্টারসেফ খ্যাত তাহের। খাবারের আয়োজনে ছিলেন নুরুল ইসলাম টিপু।

বিজ্ঞাপন

বৈরি আবহাওয়ার কারণে শুরুতে কিছুটা আশঙ্কা তৈরি হলেও দুপুর ১টার পর থেকে বাড়তে থাকে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যে সেজে ওঠে স্যানফোর্ড ডার্বি পার্ক। পুরো অনুষ্ঠান ক্যামেরায় বন্িদ করেন সাদাত মিসু।

বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি সামদুস তোহা বলেন, ‘আমার জীবনের দেখা পিঠা মেলার মধ্যে এটা ছিল অন্যতম। এতো পিঠার সমাগম কখনো আমার চোখে পড়েনি।’

কমিউনিটির পরিচিত মুখ ইলিয়াস ঠাকুর বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত এতো সুন্দর আয়োজন এতো পিঠার সমারোহ, বৈরি আবহাওয়ার পরেও এতো মানুষের উপস্থিতি দেখে।’

পিঠা কমিটির অন্যতম সংগঠক দুলু ভুইয়া, টনি হোসেন, নান্টু চৌধুরি এবং ফিরোজ হোসেন বলেন, তাদের উদ্দেশ্য প্রবাসের মাটিতে সবাইকে আনন্দ দেওয়া। তাই অনুষ্ঠান সুন্দর করতে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন তারা। ভবিষ্যতে এমন আরও করার প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হয় এবারের পিঠা উৎসব।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএমএন

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন