বিজ্ঞাপন

পুঁজিবাজারের সূচক ৫৬ মাসের আগের অবস্থানে

January 13, 2020 | 6:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের দুই পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে। এতে করে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক চার বছর আট মাস বা ৫৬ মাসের আগের অবস্থানে চলে গেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৮৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১২৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি ২০১৫ সালের ৭ মে‘র পর সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। ওইদিন ডিএসই’র সূচক ছিল চার হাজার ১২২ পয়েন্ট।

পুঁজিবাজারে টানা দরপতনকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুঁজিবাজারের এই টানা দরপতনের কোনো যৌক্তিক কারণ আছে বলে আমার জানা নেই। সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে যেভাবে শেয়ারের দাম কমছে, তা কেন হচ্ছে তা আমার কাছে বোধগম্য নয়।

মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, বর্তমানে অনেক শেয়ারের দাম মৌলভিত্তির চেয়েও কম। তাই এইসর শেয়ারে দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন। তাই এই মুহূর্তে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করা উচিত।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে পুঁজিবাজারের দরপতনের জন্য বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকট, দেশের অর্থনীতির সার্বিক প্রভাব এবং বাজার মনিটরিং জোরালো না হওয়াকে দায়ী করছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তারাও প্রতিদিনই বাজারের দরপতনের কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না। তবে দেশের সার্বিক অর্থনীতি, বিশেষ করে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক খাতের নেতিবাচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে বলে মনে করছেন তারা।

সোমবার ডিএসইতে ৩৫৪টি কোম্পানির ১১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ১৬৪টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে  মাত্র ২১টির, কমেছে ৩১৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২০টি শেয়ারের দাম। দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ২৮৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকায়। দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ৮৯ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ১২৩ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি ২০১৫ সালের ৭ মে’র পর একদিন সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে ২০১৫ সালের ৭ জুন ডিএসই’র প্রধান সূচক ছিল ৪ হাজার ১২২ পয়েন্ট। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ৯২৯ পয়েন্ট, ডিএসইএ-৩০ সূচক ২৭ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে নেমে আসে।

এদিকে, দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সোমবার ২৫২টি কোম্পানির ৭৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮৮৬টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ২৮টির, কমেছে ২০৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে ১৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসই’র প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৩৮ পয়েন্ট কমে ১২ হাজার ৫৭০ পয়েন্ট নেমে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন