বিজ্ঞাপন

যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুনের বিদায়ে মিডল অর্ডারই দায়ী: মাশরাফি

January 13, 2020 | 7:41 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে যে ক’টি ম্যাচই যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন জিতেছে সে জয়ে অবদান রেখেছেন দলের টপ ও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। আগে ব্যাটিং পেলে তাদের ধুন্ধুমার ব্যাটেই লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে ঢাকা। যা টপকাতে গিয়ে প্রতিপক্ষ তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। রান তাড়া করে জয়ে তাদের ভূমিকায় ছিল অগ্রগন্য। পক্ষান্তরে মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ছিল ম্লান। এমন একটি ম্যাচ নেই যেখানে তারা ত্রাতার ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে পেরেছেন। এই একটি পশ্চাৎপদতায় ঢাকা প্লাটুনকে সেমি ফাইনাল ও ফাইনালের দৌঁড় থেকে ছিটকে দিয়েছে বলে মনে করেন দলপতি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা।

বিজ্ঞাপন

পড়ুন: অধিনায়কত্ব কবে ছাড়ছেন? সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফিকে প্রশ্ন

উদাহরণ হিসেবে সোমবারের (১৩ জানুয়ারি) এলিমিনেটরে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ম্যাচটিকেই ধরা যাক না। দলীয় ৪৩ রানে টপ অর্ডারের বিদায়ের পর মিডল অর্ডারের কেউই দলের হাল ধরতে পারেননি! উইকেটে এলেন আর গেলেন। লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে সাদাব খান ৪১ বলে ৬৪ আর থিসারা পেরেরা ১৩ বলে ২৫ রান করেছিলেন বলে রক্ষা। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল ঢাকা। অথচ জাকের আলী, মেহেদি হাসান ও লুইস রিসের ব্যাট থেকে ৩০টি রান এলেও ম্যাচের গল্প অন্যরকম হলেও হতে পারত। আর সেটা হলে এলিমিনেটর থেকেই বিদায় নিতে হত না বলে মত তাঁর।

সংবাদ সম্মেলনে এসে সেকথায় জানালেন। ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের মিডল অর্ডার ওভাবে খেলতে পারেনি। তামিম আউট হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেভাবে টুর্নামেন্ট খেলেছি আমাদের সুযোগ আরো বেশি ছিল। আজকের ম্যাচ জিতলে আমাদের ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ আরেকটা থাকত।’

বিজ্ঞাপন

এর বাইরেও হারের আরো দু’টি কারণ উল্লেখ করেছেন যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন দলপতি। প্রথমটি হলো, বিদেশি প্লেয়ারদের যত্রতত্র দেশে আসা যাওয়া। যেমন; বিপিএল চট্টগ্রাম পর্বে ওয়াহাব রিয়াজ ৭ দিনের ছুটিতে বোনের বিয়েতে যোগ দিতে পাকিস্তানে ফিরেছিলেন। ওই সাত দিনে চট্টগ্রামে তিনটি ম্যাচ খেলেছে ঢাকা। ফলে তার বদলি খেলাতে হয়েছে। যাওয়া আসার মধ্যে ছিলেন লঙ্কান থিসারা পেরেরাও। শহীদ আফ্রিদি তো চলেই গেলেন। এতে করে দলের সঠিক কম্বিনেশন দাঁড় করানো কঠিন হয়ে গিয়েছিলো বলে মনে করেন মাশরাফি। সঠিক টিম কম্বিনেশন না থাকায় সঠিক জায়গায় সঠিক প্লেয়ারকে খেলানো সম্ভব হয়নি। যা দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

দ্বিতীয় কারণ হিসেবে উল্লেখ করলেন শেষ দুই ম্যাচে টানা হারকেও। ‘টুর্নামেন্টের মূল জায়গায় এসে পরপর দুই ম্যাচ হেরে আমাদের ক্ষতি হয়েছে। শেষ দুই ম্যাচের আগে আমরা ভালো অবস্থায় ছিলাম। কিছু খেলোয়াড় যাওয়া আসার ভেতরে থাকায় দল ব্যালেন্স করায় কঠিন হয়ে গিয়েছিল।’

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের লিগ পর্বের ১২ ম্যাচে ৭ জয় ও ৫ হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে থেকে এলিমিনেটর ম্যাচে জায়গা করে নেয় যমুনা ব্যাংক ঢাকা প্লাটুন। সেখানে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৭ উইকেটের বড় হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় কোচ সালাহউদ্দিনের শিষ্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন