বিজ্ঞাপন

আমিরের তোপে পরাস্ত রাজশাহী; ফাইনালে খুলনা

January 13, 2020 | 10:20 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে রাজশাহী রয়্যালসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে খুলনা টাইগার্স। আগে ব্যাট করে রাজশাহীকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আমিরের বোলিং তোপে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে রাজশাহী থামে ১৩১ রানে। আর তাতেই ২৭ রানের জয় পায় টাইগার্সরা। সেই সঙ্গে প্রথম দল হিসেবে নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনাল।

বিজ্ঞাপন

এই হারেই অবশ্য ফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়নি না রাজশাহী রয়্যালসের। দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে ম্যাচে থাকছে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে আরো এক সুযোগ।

মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের গ্রুপ পর্বে শীর্ষে থেকেই শেষ করে খুলনা টাইগার্স। আর তাতেই নিশ্চিত হয় কোয়ালিফায়ার খেলা। সেখানে প্রতিপক্ষ রাজশাহী রয়্যালস। গ্রুপ পর্বে যাদের বিপক্ষে এক ম্যাচে জয় আর অন্য ম্যাচে হারতে হয়েছিল খুলনাকে। আর সেই প্রতিপক্ষকেই নাস্তানাবুদ করে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল মুশফিকুর রহিমের দল।

খুলনার ছুঁড়ে দেওয়া ১৫৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমিরের তোপের মুখে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা। রয়্যালসের ব্যাটিং ইনিংসের প্রথম ওভারেই ওপেনার লিটন দাসকে (২) ফিরিয়ে দেন আমির। এরপর চতুর্থ ওভারে জোড়া আঘাত হেনে গুঁড়িয়ে দেন রাজশাহীর টপ অর্ডার। চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে আফিফ হোসেন আর পঞ্চম বলে অলক কপালিকে আউট করেন আমির।

বিজ্ঞাপন

আফিফ ফিরে যান ব্যক্তিগত ১১ রানে আর অলক কপালি আউট হন কোনো রান যোগ করার আগেই। এরপর নিয়মিত বিরিতিতেই উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। পঞ্চম ওভারে রবি বোপারার (১) উইকেট তুলে নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক আর তাঁর পরের ওভারে আন্দ্রে রাসেলকে (০) নিজের চতুর্থ শিকারে পরিণত করেন মোহাম্মদ আমির। এরপর শহিদুল ইসলাম ফরহাদ রেজাকে (৩) ফেরালে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে খুলনা।

রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান যোগ হতেই হারায় ছয় ব্যাটসম্যানকে। তবে উইকেটের অন্য প্রান্ত আগলে রাখেন শোয়েব মালিক। একের পর এক বাউন্ডারি ওভার বাউন্ডারিতে কেবল নিজের নামের পাশের রান সংখ্যায় বাড়াতে পেরেছেন আর দলের হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন শোয়েব মালিক। মোহাম্মদ আমিরের কাছে উইকেট বিলিয়ে দেওয়ার আগে নামের পাশে মালিক যোগ করেন ৫০ বলে ৮০ রান। শেষ পর্যন্ত ১৩১ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস আর খুলনা জয় পায় ২৭ রানের।

খুলনার হয়ে ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম। এছাড়া মোহাম্মদ আমির ৪ ওভারে ১৭ রান দিয়ে নিয়েছেন  ৬টি উইকেট। চলতি বিপিএলে এটিই কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে ঢাকা প্লাটুনের হয়ে ৮ রান দিয়ে  উইকেট নিয়েছিলেন ৫টি। এবার তারই স্বদেশী পেসার মোহাম্মদ আমির ভাঙলেন সেই রেকর্ড।

বিজ্ঞাপন

এর আগে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর বিপিএলের এবারের আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রাইলি রুশোকে হারায় খুলনা। মিরাজ আউট হন ব্যক্তিগত ৮ রানে আর রুশো ফিরে যান নামের পাশে কোনো রান যোগ করার আগেই।

তবে উইকেটের অপরপ্রান্ত আগলে রাখেন গ্রুপ পর্বে ঢাকার বিরুদ্ধে জয় এনে দেওয়া নায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শামসুর রহমানের সঙ্গে ৭৮ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন শান্ত। শামসুর ৩২ রান করে ফিরলেও অর্ধশতক তুলে নেন শান্ত। শামসুরের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তবে নামের পাশে ২১ রান যোগ করে আঘাত পান মুশি। আর এরপরেই ছাড়েন মাঠ।

শেষ পর্যন্ত শান্তর ৫৭ বলে ৭৮ রানের ইনিংসে ১৫৮ রানে থামে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিং ইনিংস। রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ দু’টি উইকেট তুলে নেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ ইরফান। নিজের কোঠার ৪ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নেন দুই উইকেট। খুলনার ব্যাটিং ইনিংসের তৃতীয় ওভারে মেইডেনসহ তুলে নেন মিরাজ এবং রুশোর উইকেট। এছাড়া একটি উইকেট তুলে নেন রবি বোপারা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন