বিজ্ঞাপন

‘মুজিববর্ষে বিএনপি-জামায়াতের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না’

January 15, 2020 | 10:31 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন মুজিববর্ষে বিএনপি-জামায়াত জোটের এগিয়ে না আসার সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই জোট স্বাধীনতাবিরোধীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের কাছে ভালো কিছুই আশা করা যায় না।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করেছে, সেই খুনীদেরকে বিচারের হাত থেকে মুক্ত করে তাদের পুরষ্কৃত করেছে। যারা স্বাধীনতাবিরোধী, মানতবাবিরোধী অপরাধী, যাদের বিচার শুরু হয়েছিল, বিচারের পথ বন্ধ করে দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে মর্যাদা দিয়ে মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী পদ দিয়েছে। তারা সাত খুনের আসামিদের ছেড়ে দিয়ে তাদের রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না। আর তারা যদি কাউকে সম্মাান দেখাতে না পারে, সেটা তাদের মনের ব্যাপার। আইন দিয়ে তাদের মনের ইচ্ছা পূরণ করা যাবে না— এটাই বাস্তবতা।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় জোটের শরিক তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদে এ কথা বলেন তিনি।

সংসদে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, যেখানেই আলো, সেখানেই অন্ধকার। আমরা জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী পালন করতে যাচ্ছি, এ কারণে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি। গোটা বিশ্ব বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে খুবই উদ্বেলিত। বিএনপি-জামায়াত জোট তো জাতির পিতাকে স্বীকার করেই না। আবার তার জন্মশতবার্ষিকীতেও তারা এগিয়ে আসছে না। তাই জাতির পক্ষ থেকে আমি বলতে চাই, এমন কোনো আইন করা যায় কি না যে জাতির পিতাকে যেন কটাক্ষ কেউ কটাক্ষ করতে না পারে। আইন অনুযায়ী ১৫ আগস্ট বা মুজিববর্ষ পালন করতে হবে, না হলে বসে থাকবে কিন্তু নেতিবাচক কিছু করতে পারবে না। এ বিষয়ে আইনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

তার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তরের পর একটা সময় ছিল, বাংলাদেশ সত্যি সত্যি অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। কিন্তু সেই অন্ধকার ভেদ করে এখন বাংলাদেশ আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। জাতির পিতা যে আদর্শ আমরা ধারণ করেছি, যে আদর্শ নিয়ে চেতনা নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেই চেতনা বা আদর্শ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। আজকে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কোর মাধ্যমে বিশ্বের জাতিসংঘভুক্ত সব দেশ উদযাপন করছে। এর থেকে বড় সত্য কী আছে? কে  সম্মান দেবে, কে সম্মান দেবে না, এটা হচ্ছে তাদের মনের ব্যাপার। আর তারা যদি কাউকে সম্মাান দেখাতে না পারে, তাহলে শুধু আইন দিয়ে তাদের মনের ইচ্ছাটা পূরণ করা যাবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পঁচাত্তরের পর থেকে ২১ বছর জাতির পিতার নাম-নিশানা ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণ,  জয় বাংলা স্লোগান এবং বঙ্গবন্ধুর নাম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল এই বাংলার মাটিতে। সত্যকে কখনো মিথ্যা দিয়ে, বাধা দিয়ে মুছে ফেলা যায় না— সেটা আজ প্রমাণিত সত্য।

বিজ্ঞাপন

‘কাজেই কে মানল, কে মানল না— তার জন্য বাঙালি জাতি বসে থাকবে না। জাতির পিতা ৭ মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, ৭ কোটি বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবা না। এখন সাত কোটি থেকে যেহেতু জনসংখ্যা ১৬ কোটির ওপরে হয়েছে, তাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারে নাই, দাবায়ে রাখতে পারবে না। বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে,‘— বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন