বিজ্ঞাপন

এস ৪০০ সমরাস্ত্র: পাকিস্তানের সব বিমানঘাঁটি আসবে ভারতের নাগালে

January 17, 2020 | 5:13 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের জন্য এস-৪০০ মডেলের এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম উৎপাদন শুরু করেছে রাশিয়া। ২০২৫ সালের মধ্যেই ভারতের জন্য উৎপাদিত সব এস-৪০০ মিসাইল দেশটিকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে জানিয়েছেন রাশিয়া মিশনের উপপ্রধান রোমান বাবুশকিন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) ইন্ডিয়া টুডের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে রোমান বাবুশকিন এ কথা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর চলতি বছরের মার্চে রাশিয়া-ভারত-চীন ত্রি পাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে রাশিয়া সফর করবেন। তখন এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী প্রযুক্তি ভারতকে বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

এর আগে, রাশিয়ার এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হাতে পেতে ভারতকে প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে। আমেরিকার পক্ষ থেকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমন কী অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিতেও পিছুপা হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এই হুমকি অগ্রাহ্য করেই রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করেছিল ভারত। নতুন এই প্রযুক্তি ভারতের হাতে আসার পর বিশ্বের অন্য সারমিক শক্তিধর দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে ভারত। বিশেষত, প্রতিবেশি পাকিস্তানের সবগুলো এয়ারবেজ এস-৪০০ এর রেঞ্জের মধ্যে থাকবে।

বিজ্ঞাপন

ভারতের বিমান বাহিনী প্রধান বিএস ধানোয়া বলেছেন, এস-৪০০ হবে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি ‘গেমচেঞ্জার’ প্রযুক্তি।

প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য এই প্রযুক্তি উৎপাদনে কাজ করছে রাশিয়ার আলমাজ-অ্যান্টে। যারা ২০০৭ সাল থেকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সাথে চুক্তিবদ্ধ। এয়ার ডিফেন্স মিসাইল হিসেবে দুনিয়াবিখ্যাত রাশিয়ার এস-৪০০ মিসাইল। সহজ পরিবহনযোগ্যতা এবং অব্যর্থ টার্গেট এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ট্রাক সদৃশ লঞ্চপ্যাডের মাধ্যমে যেকোন পরিস্থিতিতে টার্গেট ঠিক করা যায় এই মিসাইল দিয়ে। বাতাসে ভাসতে থাকা শত্রুপক্ষের যে কোনও যুদ্ধবিমান অথবা মিসাইলকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করেতে সক্ষম এস-৪০০ মিসাইল। ৪০০ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে থাকা যে কোনও টার্গেটে অব্যর্থ আঘাত হানতে সক্ষম এস-৪০০। ৪০০ কিলমিটার রেঞ্জের সাথে মিলিয়ে এর নাম দেওয়া হয়েছে এস-৪০০। এয়ার ডিফেন্স মিসাইলের সর্বশেষ সংস্করণ এই এস-৪০০। যা আগে, শুধুমাত্র রাশিয়ার কাছেই ছিল। ২০২৫ সাল থেকে এর আরেক অংশীদার হতে যাচ্ছে ভারত। এই প্রযুক্তি নিজদের হাতে আনতে ভারতের খরচ পড়ছে ৩৯ হাজার কোটি রুপি।

 

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একেএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন