বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন টানা ২১ ওভার মেইডেনের মহানায়ক

January 18, 2020 | 1:01 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ভারতের সাবেক অলরাউন্ডার বাপু নাদকার্নি আর নেই। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ৮৬ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে জীবন থেকেই অবসর নিলেন ভারতের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে মিতব্যয়ী সাবেক এই বোলার।

বিজ্ঞাপন

কিভাবে তাঁকে গণ্য করা হলো টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার হিসেবে? প্রশ্নটা মনে আসাই স্বাভাবিক। কেনই বা তাঁকে গণ্য করা হবে না? কারণ ভারতের টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে টানা ২১ ওভার মেইডেন দিয়ে নিজের নামের পাশে কিপটে উপাধিটি স্থায়ীভাবে জুড়ে নিয়েছিলেন নাদকার্নি।

চলুন জেনে আসি পুরো ঘটনা। তবে তাঁর জন্য আমাদের ফিরে যেতে হবে ১৯৬৪ সালে। তৎকালীন মাদ্রাজে (বর্তমানে চেন্নাই) চলছিলো ভারত বনাম ইংল্যান্ডের টেস্টের তৃতীয় দিন। টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ৭ উইকেটের খরচায় ৪৫৭ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিলো ভারত। ২ উইকেটে ৬৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেছিলো ইংলিশরা।

বিজ্ঞাপন

ইংলিশদের রানের চলছিলো বেশ ভালোই। কিন্তু ঘটনা ঘটে মধ্যাহ্নভোজের পরেই। বোলিং করতে আসেন ভারতীয় বাঁহাতি স্পিনার বাপু নাদকার্নি। শুরু করেন নিখুঁত লাইন এবং লেংথের সংমিশ্রণের দুর্দান্ত স্পেল। তাঁর বলে মধ্যাহ্ন বিরতির পর থেকে শুরু করে চা বিরতিতে যাবার আগ পর্যন্ত ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা নিতে পারে মাত্র এক রান। সেই স্পেলে বাপুর বোলিং ফিগার ছিলো ১৯-১৮-১-০।

দিনের শেষ সেশনে বল হাতে আবার আবির্ভূত হন বাপু। দিন শেষে তাঁর বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ২৯-২৬-৩-০। সেই টেস্টে বাপুর বোলিং ফিগার ছিলো অবিস্মরণীয়। ৩২ ওভার বল করে রান দিয়েছেন মাত্র ৫। যার ভেতর ছিলো ২৭ টি ওভার মেইডেন। এই ২৭ মেইডেনের ভেতর ২১ টি মেইডেনই নিয়েছেন টানা। বোলিং বিবেচনায় নাদকার্নির ৩২ ওভারের সেই ফিগারই সবচেয়ে কিপটে বোলিং (০.১৫ ইকোনমি রেট)। এর কারণেই তাঁর নামের পাশে কিপটে শব্দটি স্থায়ী ভাবে জুড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

টানা এতগুলো মেইডেন ওভার টেস্ট তো দূরের কথা, প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও কোনো বোলার করতে পারেননি কখনো। ১৯৫৫ সালে টেস্টে অভিষিক্ত হওয়া বাপু নাদকার্নি ১৩ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে খেলেছিলেন ৪১টি টেস্ট। ১৪১৪ রান করার সাথে সাথে বল হাতেও নিয়েছিলেন ৮৮ উইকেট।

ব্যাট হাতে তাঁর ঝুলিতে ছিলো একটি শতক এবং ৭টি অর্ধশতক। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২২*। আর বোলিংয়ে তাঁর ইনিংস সেরা বোলিং ৬/৪৩ এবং ম্যাচ সেরা বোলিং ১১/১২২। যেখানে দুইটি ৪ উইকেট বাগিয়ে নেবার ইনিংসের সাথে ছিলো চারটি ৫ উইকেট প্রাপ্তির ইনিংসও।

১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল মহারাষ্ট্রের নাসিকে জন্ম নেন বাপু নন্দকার্নি। পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায় দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন