বিজ্ঞাপন

রেকর্ড উত্থান পুঁজিবাজারে

January 19, 2020 | 4:58 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টানা দরপতনের ধারাবাহিকতা কাটিয়ে এবার রেকর্ড উত্থানের সাক্ষী হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। দেশের প্রধান এই পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিন শেষে প্রধান সূচক বেড়েছে ২৩২ পয়েন্ট বা ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। ফলে সূচক দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে। সূচকের এই ঊর্ধমুখী ধারা এদিন ছিল আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সেখানে দিন শেষে সার্বিক সূচক বেড়েছে ৫৭৭ পয়েন্ট।

বিজ্ঞাপন

২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি ডিএসই’র ব্রড ইনডেক্স চালু হওয়ার পর এটিই দেশের কোনো পুঁজিবাজারে একদিনে সূচকের সর্বোচ্চ উত্থান। এর আগে, ২০১৫ সালের ১০ মে এই বাজারে ১৫৫ পয়েন্ট বেড়েছিল একদিনে।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে অব্যাহতভাবে দরপতন হয়। এই অবস্থায় গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক চার বছর আট মাস বা ৫৬ মাসের আগের অবস্থানে চলে আসে। ওই দিন ডিএসই‘র প্রধান সূচক কমে চার হাজার ৩৬ পয়েন্টে নেমে আসে। এটি ২০১৫ সালের ৫ মে‘র পর সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান।

বিশ্লেষকরা বলছেন, পুঁজিবাজারকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে গত ১৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের নীতি নির্ধারকদের নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ঘোষণা দেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকও কিছুটা নমনীয় হয়। এতে করে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বেড়ে যায। আর এই কারণে পুঁজিবাজারে ঊর্ধমুখী ধারায় ফিরেছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার ডিএসইতে ৩৫৬ টি কোম্পানির ১৬ কোটি ৯ লাখ ৬৩ হাজার ৪২২ টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৪৬টির, কমেছে মাত্র ছয়টির। অপরিবর্তিত ছিল চারটির দাম। দিনশেষে ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ৪১১ কোটি ৩৬ লাখ টাকায়। আর দিন শেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২৩২ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৩৮২ পয়েন্ট। এদিন ডিএসই শরিয়া সূচক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে  ৯৯৭ পয়েন্ট এবং ডিএসইএ-৩০ সূচক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৪৮৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়।

অন্যদিকে, রোববার আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৫৭টি কোম্পানির ১ কোটি ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫৭টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব  শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১টির, কমেছে ১৫টির, অপরিবর্তিত ছিল ১১টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিন শেষে সিএসইতে ৪৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৭৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৩ হাজার ২৭৭ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন