বিজ্ঞাপন

থানা হেফাজতে বিএফডিসির ফ্লোর ইনচার্জের মৃত্যুর অভিযোগ

January 19, 2020 | 5:14 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা হেফাজতে আবু বক্কর সিদ্দিক বাবু নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী আলেয়া ফেরদৌসী। বাবু বিএফডিসির ফ্লোর ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে ছুটে যান ফেরদৌসী।

এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘বাবুকে গতকাল একটি মামলায় তেজগাঁও থানা পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। ওই সময় তিনি সম্পুর্ণ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক ছিলেন।’

ফেরদৌসী জানান, সে সবুজবাগ মাদারটেক আদর্শপাড়া এলাকায় দুই সন্তান নিয়ে থাকতো। মায়া নামে এক নারীর সাথে সম্পর্ক ছিল বাবুর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর থেকে উভয়ই আলাদা থাকতো। কিন্তু বাবু কোথায় থাকতো তা জানত না ফেরদৌসী। এফডিসির একজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে আজ তিনি মর্গে ছুটে আসেন।

বিজ্ঞাপন

ফেরদৌসী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। এই মামলায় গত রাতে পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। থানা পুলিশ তাকে ধরে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই। আমার স্বামী কোনো সন্ত্রাসী ও মাদকব্যবসায়ীও ছিল না। পুলিশ তাকে ধরার পর আমাদের কিছু জানায়নি।’

এর আগে রোববার ভোর ৪টার দিকে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন) ইফতেখার ইসলাম অচেতন অবস্থায় আবু বক্কর সিদ্দিক বাবুকে (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলায় কালো দাগ রয়েছে।

মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে এফডিসিতে কর্মরত সহকর্মীরা ছুটে আসেন হাসপাতালে। সহকর্মী আবু সাইদ বলেন, ‘সকালে তেজগাঁও থানা পুলিশ তাদের অফিসে এসে বলেন, বাবু আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কোথায়, কীভাবে আত্মহত্যা করেছে বিস্তারিত কিছু বলেননি। পরে হাসপাতালে এসে মৃতদেহ দেখতে পাই। গতকাল সে অফিসে ছিল। বিকেলের দিকে অফিস থেকে বের হয় সে।’

বিজ্ঞাপন

সাঈদ আরও বলেন, ‘রাত ৮টার দিকে থানা থেকে অফিসে ফোন আসে। সেখান থেকে জানায়, বাবু নামের একজনকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় থানায় গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার বাদী রোকসানা আক্তার মায়া নামের এক নারী। এরপর ফোন কেটে দেয়। পরে আর কোনো যোগাযোগ করে নাই। গ্রেফতারের পর একজন আসামি কীভাবে আত্মহত্যা করতে পারে তা বুঝতে পারছি না।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘ভোররাত ৩টা ৫৫ মিনিটে বাবুকে থানা পুলিশ অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারছি না। তার সঙ্গে কোনো স্বজনও পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের গলায় কালো দাগ ও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।’

বাবুর ভাই নুর মোহাম্মদ বাচ্চু জানায়, তাদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে। পরিবারের লোকজনের সাথেও তেমন যোগাযোগ ছিল না বাবুর।

এদিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) ইফতেখার ইসলামের নম্বরে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। এছাড়া তেজগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোবাইলে বার বার কল করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএসআর/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন