বিজ্ঞাপন

থানা হেফাজতে মৃত্যু: ওসির শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ

January 20, 2020 | 3:04 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: থানা হেফাজতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ফ্লোর ইনচার্জ আবু বকর সিদ্দিকীর (৪৫) মৃত্যুতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তার সহকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ জানুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে এফডিসির সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মিছিল বের করা হয়।

থানা হেফাজতে নির্যাতন করে আবু বকরকে হত্যা করা হয়েছে। এমন দাবিতে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় রাস্তা বন্ধ করে অবরোধের কারণে হাতিরঝিল থেকে কারওয়ান বাজার সড়কের যানচলাচল বন্ধ ছিলো অনেকক্ষণ।

আবু বকর ঢাকা সিটি নির্বাচনের সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের চিঠি পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার সহকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

বিক্ষুব্ধ সহকর্মীরা জানান, বিএফডিসির ফ্লোর ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত ছিলেন আবু বকর সিদ্দিকী। গত শনিবার সন্ধ্যায় অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে পুলিশ তাকে আটক করে। রোকসানা আক্তার মায়া নামে এক নারী তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। সেই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। সেখানেই পুলিশি নির্যাতনে রাতে অসুস্থ হয়ে পড়েন আবু বকর। এসময় তাকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) ইফতেখার ইসলাম অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু বকরকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনরা বলছেন, আবু বকরের গলায় কালো দাগ ও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে।

আন্দোলনরত এফডিসির কর্মচারী ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজা বেগম বলেন, আমাদের কথা একটাই, কেন আবু বকরকে থানা হেফাজতে মরতে হলো? আমরা দোষীদের শাস্তি চাই। তাকে (বকর) পুলিশ গ্রেফতার করেছে শনিবার, কিন্তু যে মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছে সেটা হয়েছে একদিন পর (রবিবার)। তার মানে পুলিশ তাকে হত্যা করে নতুন নাটক সাজিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, থানায় কম্বল পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে আবু বকর। কিন্তু তার গলায় একটা চিকন দাগ রয়েছে। তার মানে এটা পরিকল্পিত হত্যা।

ফিরোজা আরও বলেন, ঘটনার দিনও সে (বকর) ডিউটি শেষ করে আমাদের সঙ্গে দেখা করে বাসায় ফিরছিল। তারপরই শুনলাম সে মারা গেছে।

জামাল শেখ নামে অপর একজন বলেন, আমাদের সরকারি কর্মচারীদের গ্রেফতার করতে হলে অনুমতি লাগে। পুলিশ কেন তা নিল না? আর আমরা তো জানি, থানার কাস্টডিতে ফাঁসি দেবার মতো কোনও অবস্থা থাকে না। এছাড়া সেখানে সিসিটিভি থাকার কথা। তারপরও কীভাবে সে গলায় ফাঁস নিল?

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএইচ/এজেডএস/

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
চবি ছাত্রকে মারধরের পর হলের ছাদ থেকে ফেলা চেষ্টার অভিযোগঢাকার পয়ঃবর্জ্য-গ্যাস লাইন পরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশরানা প্লাজা ধস: ভুক্তভোগীদের পুনর্বাসন ও মামলা নিষ্পত্তির দাবিগরমে লোকালয়ে ঢুকছে সাপ, সচেতনা সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি ডিএমপিরব্যাংক একীভূতকরণের নামে ঋণ খেলাপিদের দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছেন্যাপ বাস্তবায়নের জন্য চাই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও আইনি ভিত্তিকাদেরকে নিয়ে মন্তব্য, যাত্রী কল্যাণের মহাসচিবের বিরুদ্ধে জিডিজাহাজেই ফিরবেন ২৩ নাবিক, চলছে কয়লা খালাসভুয়া তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার চেষ্টা!নিখোঁজের ২৫ দিন পর নদী থেকে ছাত্রলীগ নেতার লাশ উদ্ধার সব খবর...
বিজ্ঞাপন