বিজ্ঞাপন

এফডিসির অতিরিক্ত চার্জ স্থগিত করলেন মন্ত্রী

January 21, 2020 | 7:10 pm

আহমেদ জামান শিমুল

একসময় নিজস্ব আয়ে চলতো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। বিগত বেশ কিছু বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটি ক্রমাগত লসের সম্মুখীন হচ্ছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্প্রতি তাদের সার্ভিস চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১৩ জানুয়ারী এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চার্জ বাড়ানোর কথা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়। কিন্তু চার্জ বাড়ানোর সিদ্ধান্তের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি।

বিজ্ঞাপন

সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমু ও সচিব কামরুন নাহারের সাথে বৈঠক করে। সেখানে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত চার্জের আদেশটি স্থগিত করেন। সারাবাংলাকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন প্রযোজক পরিবেশক সমিতির সভাপতি খোরশেদ আলম খসরু।

তিনি বলেন, ‘আমরা বৈঠকে বিষয়টি তুললে মন্ত্রী মহোদয় আমাদের সমস্যাটি অনুধাবন করেন এবং অতিরিক্ত চার্জ বাতিল করতে বলেন। এছাড়া আমরা বর্তমান চার্জও অর্ধেক নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছি। তিনি তাও বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’

কিন্তু এফডিসির চার্জ তো নামমাত্র বাড়ানো হয়েছিলো? তাতে কি খুব বেশি ক্ষতি হতো? জবাবে খসরু বলেন, ‘এমনিতে আমাদের দেশে ভালো প্রযোজকরা আসছেন না। এ বছর বেশকিছু প্রযোজক আসছেন ভালো কিছু প্রজেক্ট নিয়ে। এখন এই মুহুর্তে যদি চার্জ বাড়ানো হয়, তাহলে তো বিপদ। হল থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের খরচ উঠানো দায়। চার্জ বাড়ালে তো নতুন প্রযোজকরা চলচ্চিত্র নির্মাণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।’

বিজ্ঞাপন

এফডিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে বিএফডিসির বিভিন্ন ফ্লোর, অফিস রুম ও খোলা জায়গা দুইভাবে চার্জ করা হয়—সেট নির্মাণকালীন ও শুটিং চলাকালীন। সেট নির্মানকালীন সময়ে খালি জায়গা ও ছাদ, সুইমিংপুলের ভাড়া ছিলো ১০০০ থেকে ২৮০০ টাকা, ফ্লোরের ভাড়া ছিলো ২৫৫০ থেকে ৫১০০ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে শুটিং চলাকালীন এ চার্জ ছিলো খালি জায়গা ও ছাদ, সুইমিং পুল ২০০০ থেকে ৩৩০০ টাকা, ফ্লোর ৬৫০০ থেকে ১৮৫৪০ টাকা পর্যন্ত। এ চার্জ করা হতো প্রতি শিফটে। প্রতি শিফট গণনা করা হতো ৮ ঘণ্টা হিসেবে। একদিনে দুই শিফট। আবার রাত ১১টার পর চার্জ ছিলো দ্বিগুণ।

ক্যামেরা চার্জ ছিলো শিফট প্রতি ৬১২০ টাকা থেকে ৬৬৩০ টাকা।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশের ফলে এ চার্জ কমে খালি জায়গা ও ছাদ, সুইমিং পুলের জন্য সেট নির্মাণকালীন হবে ৮০০ থেকে ২০০০ টাকা এবং শুটিং চলাকালীন হবে ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা। ফ্লোরের ভাড়া হবে ২৪০০ থেকে ৪৮০০ টাকা। ক্যামেরার ভাড়া হবে ৬০০০ থেকে ৬৫০০ টাকা।

সারাবাংলা/এজেডএস/পিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন