বিজ্ঞাপন

দুই সিটিতে ১৮ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ: ইসি সচিব

January 22, 2020 | 8:27 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ১৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। তবে এসব কেন্দ্রে খারাপ কিছু হতে পারে বলে তথ্য নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব বলেন, গোয়েন্দাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ১৮টি কেন্দ্র শুধু ঝুঁকিপূর্ণ। তবে তাদের এ ধরনের তথ্য নেই যে এসব কেন্দ্রে খারাপ কিছু ঘটতে পারে। তারা সবসময় সতর্ক আছেন। কোনো সমস্যা থাকলে তারা ব্যবস্থা নেবেন।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে ইসি কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টরা বৈঠকে বসেন।

ইসি সচিব বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৪০ হাজার সদস্য ভোটে মাঠে থাকবেন। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৬ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ১৮ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‌্যাব ও বিজিবি সদস্য থাকবেন।

বিজ্ঞাপন

মো. আলমগীর বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রলালয়ের অধীন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর প্রধান ও প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে কিভাবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট আয়োজন করা হয়, তা কমিশনের পক্ষ থেকে তুলে ধরা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর দায়িত্ব কী, সেটাও তুলে ধরা হয়েছে। তারা বলেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করণীয়, সে বিষয়ে তারা সচেতন আছেন। এ ব্যাপারে তারাও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। তিনি বলেন, তারা আমাদের প্রস্তাবগুলো মেনে নিয়েছে। তবে ভোটারদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চলাচলের বিষয়ে যে প্রস্তাব ছিলে, সে বিষয়ে তারা ভিন্নমত জানিয়েছে। তারা বলেছে, ঢাকায় ২ থেকে ৩ লাখ ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে। ট্রাফিক পুলিশ নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করবে বলে তারা ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। ফলে যারা নির্বাচনের যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সমস্যা হবে এবং যারা বিভিন্ন স্থান থেকে চলাচল করবে, তাদেরও সমস্যা হবে। তাদের এই অবস্থান কমিশন মেনে নিয়েছে।

নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এক্ষেত্রে ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯৫ নম্বর নিয়ে ভোটের কার্যক্রম এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা হয়তো শতভাগ করতে পারিনি, উত্তরের যে অভিযোগটি এসেছে সেটির ক্ষেত্রেও সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশ দিয়েছে এবং তিনি সঙ্গে সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ওসিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

বিজ্ঞাপন

ইসি সচিব জানান, নির্বাচনের দুই দিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও সদস্য মোতায়েন করা হবে। এখন পরিস্থিতি যা আছে, তা তো থাকবেই। আশা করি আরেও ভালো হবে। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও সে সময় মাঠে থাকবে।

বৈঠকে ইসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও অতিরিক্ত সচিব মোখলেছুর রহমান। এ ছাড়াও ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন মহাপুলিশ পরিদর্শক, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, র‌্যাব, আনসার, ভিডিপি, ডিজিএফআই ও এনএসআইয়ের মহাপরিচালক, বিভাগীয় কমিশনার, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, ঢাকা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক, ঢাকা জেলা প্রশাসক ও ঢাকার পুলিশ সুপার।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন