বিজ্ঞাপন

রাজাকারের তালিকা সরকারের বড় ব্যর্থতা: এমপি হারুন

January 22, 2020 | 9:37 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত হয়ে বিতর্কের মুখে পড়া রাজাকারের তালিকাকে সরকারের বড় ব্যর্থতা বলে অভিহিত করেছেন বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই এখন পর্যন্ত করতে পারেননি, রাজাকারের এই তালিকার কী প্রয়োজন ছিল? ৫০ বছর পর তালিকা করতে গিয়ে একবার বলছেন, এই তালিকা পাকিস্তান করেছে, আরেকবার বলছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করেছে। এটা ঠিক না। এটা সরকারের বড় ব্যর্থতা।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে একাদশ সংসদের ষষ্ঠ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, রাজাকারের তালিকা নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের কী বেদনা, কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া! মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ক্ষমা চেয়েছেন, দুঃখপ্রকাশ করেছেন। কোনো সৎ উদ্দেশ্যই যদি থাকত, ৫০ বছর পর কী প্রয়োজন ছিল এই তালিকার, যেখানে। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাই এখন পর্যন্ত ঠিকমতো করতে পারিনি?

বিজ্ঞাপন

বিএনপির এই সংসদ সদস্য বলেন, ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। বর্তমান এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যত সময় ঘনিয়ে আসছে, সরকারের সন্ত্রাসী তৎপরতা আরও বেড়ে যাচ্ছে। এরই প্রমাণ তাবিথের ওপর হামলা। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হলে অবশ্যই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভাষণে বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। এটা ঠিক না। কথাটি সত্য নয়। নির্বাচন কমিশন নাকি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সুষ্ঠু দায়িত্ব পালন করছে— এটি একেবারেই অসত্য।

রাষ্ট্রপতির ভাষণে ভেদাভেদ ভুলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বানের বিষয়ে হারুনুর রশিদ বলেন, বিরোধী দলের নেতা খালেদা জিয়াকে জেল ঢুকিয়ে রাখবেন; তিনি মৃত্যু পথযাত্রী, তাকে জামিন দেবেন না; তাকে সাজা দিয়ে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটক রাখবেন; বিরোধী দলকে পুলিশ-র‌্যাব দিয়ে ঠেঙাবেন— এটা দিয়ে জাতীয় ঐক্য সম্ভব না, এই পদ্ধতিতে শান্তি-সমৃদ্ধি নিয়ে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন