বিজ্ঞাপন

‘শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনী দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে’

February 22, 2018 | 12:18 pm

সারাবাংলা ডেস্ক

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সদস্যদের গৌরবাজ্জ্বল ভূমিকা দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।  যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় দুর্গত মানুষের সহায়তা করে সেনাবাহিনী অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী নাটোর কাদিরাবাদ সেনানিবাসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের ৬ষ্ঠ কোর পুনর্মিলনী ও বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুহারা নাগরিকরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আমাদের সেনাবাহিনীর সহায়তায় আমরা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে সেখানে তাদের অবস্থানের ব্যবস্থা করেছি। রিলিফ বিতরণ থেকে সার্বিক দায়িত্ব পালনে আমাদের সশস্ত্রবাহিনী সেখানে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাহিরে সেনাবাহিনীকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা চাই না কোনো সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকাসক্ত আমাদের সমাজকে নষ্ট করুক। আমরা দেশের মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো। আর্থ – সামাজিক উন্নয়নে আজকে আমরা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছি। জাতির পিতা শুধু একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলেননি। তার সময়ে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন আমরা সরকারে আছি। এ কারণেই বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন আর স্বল্পোন্নত দেশ নই, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশের যোগ্যতা অর্জন করেছি। এজন্য তিনটি জিনিস অর্জন করতে হয়। আমরা সবকটি  অর্জন করেছি। ফলে আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করতে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি জেলায় এখন ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। এবং প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ব্যবস্থা প্রবর্তন করে বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন সবার হাতে হাতে মোবাইল রয়েছে। আমরা ৩জি চালু করেছিলাম। এখন আমরা ৪জি চালু করেছি। প্রতিটি ইউনিয়নে আমরা ডিজিটাল সেন্টার চালু করেছি।

কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে আমরা স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে ৩০ প্রকারের ঔষধ বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছি।  ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করে সেবা দিয়ে যাচ্ছি, বলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী যোগ করেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চাই। ইতোমধ্যে ৫ কোটি মানুষ  নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উঠে এসেছে। দারিদ্র্যের হার ২২ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আমাদের লক্ষ্য এ হার আমরা ১৪ থেকে ১৫ ভাগে নামিয়ে আনবো। যাতে বাংলাদেশকে আর কেউ দরিদ্র্য বলতে না পারে। অবহেলা ও করুণা করতে না পারে।

বিজ্ঞাপন

সেনাবাহিনীর অনুষ্ঠান শেষে রাজশাহীতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে ২১টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন তিনি।

পরে দুপুর তিনটায় রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানে রাজশাহী মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সারাবাংলা/টিএম/জেএএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন