বিজ্ঞাপন

চবিতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ শিথিল

January 24, 2020 | 12:38 am

চবি করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের একাংশের ডাকা অবরোধ প্রশাসনের আশ্বাসে সাময়িকভাবে শিথিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর পাঁচ দফা দাবিতে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের সামনে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এর আগে তারা চবি প্রক্টরের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।

বিজয় গ্রুপের পাঁচ দাবির মধ্যে আছে— বুধবারের ঘটনা ও এর আগের সব ঘটনার নির্দেশদাতা সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও তার অনুসারীদের গ্রেফতার, রেজাউল হক রুবেলকে বহিষ্কার করতে চবি প্রশাসনকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে অবগত করা, বিজয় পরিবার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা, বুধবার রাতে সোহরাওয়ার্দী হল থেকে আটক আট জনের নিঃশর্তে মুক্তি এবং আহত কর্মীদের সুচিকিৎসা ও সার্বিক সহায়তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আমরা প্রশাসনের আশ্বাসে আগামী রোববার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত সাময়িকভাবে অবরোধ শিথিল করেছি। প্রক্টর স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। রোববারের মধ্যে ব্যাবস্থা না নিলে আমরা ফের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তাদের যেকোনো যৌক্তিক দাবির প্রতি আমাদের সমর্থন আছে। আমরা আরও ভালোভাবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখব। এরপর আমাদের যেটা করণীয়, সেটা করব।

বুধবার রাতে আটক আট জনের প্রসঙ্গে প্রক্টর বলেন, তাদের বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারছি না। তাদের সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে শাটল ট্রেন আগামীকাল (শুক্রবার) থেকে পূর্বনির্ধারিত সময়ে চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে, বুধবার থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কেন্দ্রীয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে ৪০০ মিটার দৌড়ের ট্র্যাকে দাঁড়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটির পর বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা আজাদ নামে এক ছাত্রকে মারধর করে। আজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের কর্মী।

বিজ্ঞাপন

এই ঘটনায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে সিএফসি নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মারধর করেন। এক পর্যায়ে উত্তেজনা সিএফসি আমানত হলে ও বিজয় গ্রুপ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান নেয়। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতির বহিষ্কার ও হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে গত রাত ৯টার দিকে বিজয় গ্রুপের নেতা ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইলিয়াস বিশ্ববিদ্যালয় অবরোধের ডাক দেন।

এই অবরোধের কারণে শাটল ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে অবরোধের মধ্যেও যথারীতি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম চলমান ছিল। শাটল ট্রেন না চললেও চলেছে শিক্ষক-কর্মচারীদের বাস।

এদিকে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে শাহ আমানত হল ও সোহরাওয়ার্দী হল থেকে ছাত্রলীগের দু্ই গ্রুপের সংঘর্ষের পর দু’টি হল থেকে সন্দেহজনক হিসেবে অন্তত ২০ জনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। এদের মধ্যে চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) গ্রুপের ১২ জন ও বিজয় গ্রুপের আট নেতাকর্মী রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/সিসি/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন