বিজ্ঞাপন

করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১, আক্রান্ত ১২৮৭

January 25, 2020 | 11:26 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চীনে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে মোট ১২৮৭ জন ভয়ঙ্কর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাস আরও ছড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, তাইওয়ান, ম্যাকাও, হংকং, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও নেপালে। খবর বিবিসি, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।

বিজ্ঞাপন

হুবাইর উহানে দ্রুত তৈরি হচ্ছে ১ হাজার শয্যার বিশেষায়িত হাসপাতাল। এক সপ্তাহের মধ্যে হাসপাতালটি গড়ে তোলা হবে। এখনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে শহরটির গণপরিবহনে। পার্শ্ববর্তী হুয়াংগাং, ইজোহু, জিংজিয়াং, চিবিসহ মোট ১০টি শহরে যানচলাচলে বিধিনিষেধ আরোপের কথা জানিয়েছেন চীনের কর্মকর্তারা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে নিজেদের আতঙ্কের অনুভূতি প্রকাশ করছেন চীনারা। অনেকেই উহানের সরকারি কর্মকর্তাদের দায়ী করছেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার জন্য। তাদের পদত্যাগ করতেও বলা হচ্ছে। যদিও সেন্সরের কাঁচিতে পড়ছে অনেকের পোস্ট ও তা মুছে ফেলা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ভাইরাস সংক্রমণের এই পরিস্থিতি কয়েক মাস ধরে বজায় থাকতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। বেইজিং এ ডব্লিউএইচও এর প্রতিনিধি ডক্টর গাউদেন গালিয়া জানান, পরিস্থিতি অনিশ্চয়তার। তিনি বলে, আমরা আশা করছি না আগামী কয়েকদিনে এটি থেকে মুক্তি পাব। ভাইরাসের সংক্রমণ চলতে পারে কয়েক মাস ধরে।

বিজ্ঞানই এখন আশার আলো বলে জানান তিনি। যদিও করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসাপদ্ধতি আবিষ্কৃত হয়নি। তবে কিছু কিছু গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে, চীনে ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর সফল চিকিৎসার পর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

গত ৩১ ডিসেম্বর করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত করা হয়। এর পরপরই সতর্কতা অবলম্বন শুরু করে চীনে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও নেওয়া হয়েছে সুরক্ষা ব্যবস্থা।

বিজ্ঞাপন

হাঁচি, কাশির মাধ্যমে ছড়ায় এই করোনাভাইরাস। ভাইরাসের কারণে রোগীর নাক, সাইনাস বা গলার উপরিভাগে সংক্রমণ ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, বাজারে বিক্রির জন্য রাখা সাপ, বাদুর বা অন্যান্য কোনো প্রাণীর মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে। যদিও কোন প্রাণী এই ভাইরাসের জন্য দায়ী তা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, ভাইরাসটি হয়ত ইতোমধ্যে মিউটেট করছে অর্থাৎ নিজে থেকেই জিনগত গঠন পরিবর্তন করছে ও নতুন রূপ নিচ্ছে। তাই এটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রাণীদের জন্য করোনাভাইরাস তেমন ভয়াবহ নয় তবে মানবদেহে প্রবেশ করে এটি মহামারির রূপ নিতে পারে।

নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসকে চিহ্নিত করা হয়েছে ২০১৯-এনসিওভি নামে, যেটির উপস্থিতি আগে কখনো মানবদেহে পাওয়া যায়নি। ২০০০ সালের শুরুতে যে দ্য সার্স ( সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপারেটরি সিনড্রোম) ভাইরাসে সারাবিশ্বে ৮০০ এর বেশি মানুষ মারা যায় সেটিও এক ধরনের করোনাভাইরাস ছিল বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন