বিজ্ঞাপন

খুন করে বেশভূষা পাল্টে ১০ মাস অধরা

January 25, 2020 | 7:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: প্রায় ১০ মাস আগে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ায় একটি খুনের ঘটনায় জড়িত এক যুবককে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের পর নিজের বেশভূষা ও নাম পাল্টে ওই যুবক ঢাকার গুলশানে গিয়ে আত্মগোপন করেছিল। সেখানে একটি মিষ্টি উৎপাদনকারী ও বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে গুলশান-২ এ প্রিমিয়াম সুইটস নামে একটি অভিজাত মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন।

গ্রেফতার রাকিবুল ইসলাম ছোটন (২২) চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার ডিসি রোডের ইদ্রিস কলোনির জনৈক আব্দুল নুর মিয়ার ছেলে। তাদের বাড়ি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায়।

নগরীর বাকলিয়া ও গোলপাহাড় এলাকার কয়েকজন কিশোরের দু’পক্ষের মধ্যে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধ মেটাতে গিয়ে ২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল গভীর রাতে বাকলিয়া থানার খালাপাত এলাকায় গুলিতে খুন হন এইচ এম লোকমান হোসেন রণি (৩৫) নামে একজন।

বিজ্ঞাপন

ওসি নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘লোকমান এবং সাইফুল নামে দুই কথিত বড় ভাইয়ের নেতৃত্বে থাকা কিশোর গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়েছিল। গুলিতে লোকমান মারা যায়। আর পরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল মারা যায়। গ্রেফতার হওয়া ছোটন ছিল সাইফুলের সহযোগী। হত্যাকাণ্ডের পর ছোটন চুল ছোট করে বেশভূষা পাল্টে ঢাকার গুলশানে গিয়ে তার আপন বড় ভাই জনি নামধারণ করে একটি মিষ্টির শোরুমে চাকরি নেয়। প্রায় একবছর পর আমরা হদিস পেয়ে তাকে গ্রেফতার করেছি।’

এই মামলায় ছোটনসহ এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওসি নেজাম উদ্দিন জানিয়েছেন।

খুন হওয়া লোকমান নগরীর গোলপাহাড় সংলগ্ন বাদশা মিয়া রোডের পশুশালা এলাকায় থাকতেন। সেখানে একটি কুলিং কর্ণার পরিচালনা করতেন।

বিজ্ঞাপন

খুনের বিষয়ে পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বাকলিয়া থানার খালপাড় এলাকার একটি কিশোর গ্রুপের সঙ্গে গোলপাহাড় এলাকার কয়েকজন কিশোরের বিরোধ হয়েছিল। লোকমান ছিল গোলপাহাড় এলাকার কিশোরদের কথিত বড় ভাই। আর বন্দুকযুদ্ধে নিহত সাইফুল ছিল খালপাড় এলাকার কিশোরদের কথিত বড় ভাই। লোকমান ও সাইফুল উভয়ই স্থানীয়ভাবে যুবলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।

ঘটনার রাতে গোলপাহাড় থেকে এক কিশোর খালপাড় এলাকায় গেলে তাকে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে লোকমান ও তার অনুসারীরা তিনটি মোটর সাইকেলে করে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে মারামারি শুরু হলে একটি বাসার দোতলা থেকে লোকমানকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। এতে লোকমান মারা যায়।

ঘটনার দুইদিন পর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার জাফতনগর গ্রামে আত্মগোপনরত অবস্থা থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুল এবং তিন নম্বর আসামি জিয়াউদ্দিন বাবলুকে গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতে সাইফুল বাকলিয়া থানার কল্পলোক আবাসিক এলাকায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়। গ্রেফতার জিয়াউদ্দিন বাবলু আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। এতে ছোটন নিজ হাতে গুলি করে লোকমানকে হত্যা করার তথ্য এসেছে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন