বিজ্ঞাপন

চট্টগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ডাকাত সর্দারের মৃত্যু

January 26, 2020 | 9:02 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোরশেদ আলম (৩৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত মোরশেদ বাঁশখালীতে ডাকাতির সময় ৩১ জেলেকে সাগরে ফেলে নির্মমভাবে হত্যায় অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে র‍্যাব। শনিবার (২৫ জানুয়ারি) গভীর রাতে বাঁশখালী উপজেলার বাণীগ্রাম লটমণি পাহাড়ে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছে র‍্যাব।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে র‍্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সহকারি পরিচালক এএসপি কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, লটমণি পাহাড়ে অভিযানে গেলে মোরশেদ বাহিনীর ডাকাতদের সঙ্গে র‍্যাবের বন্দুকযুদ্ধে মোরশেদের মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে তার মৃতদেহের পাশাপাশি একটি বিদেশি পিস্তল, একটি থ্রি কোয়ার্টার গান, দুইটি ওয়ান শ্যুটার গান, ১৯ রাউন্ড গুলি ও ৩টি রামদা জব্দ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ও চট্টগ্রামের আনোয়ারা-বাঁশখালীতে বঙ্গোপসাগর উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় মোরশেদ দুর্ধর্ষ ডাকাত হিসেবে পরিচিত। ২০১৩ সালের ২৪ মার্চ কুতুবদিয়া থানার জাহাজখালীতে বঙ্গোপসাগরের গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার ট্রলারে ডাকাতিতে বাধা দিলে ৩১ জেলেকে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় ডাকাতরা। ওই ডাকাতি মামলার অন্যতম আসামি মোরশেদ। ৩১ জনকে খুনের পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে মোরশেদ বাহিনীর নাম ছড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ আছে, একই বছরের ২০ জুলাই বাঁশখালীতে মোরশেদ বাহিনী গুলি করে খুন করে চাম্বল বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি বুজুরুছ মেহের চৌধুরীকে। বুজুরুছ খুনের পর মোরশেদকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ২০১৯ সালের ১০ মার্চ তিনি জামিনে মুক্তি পান।

মোরশেদ আলম বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল এলাকার ছিদ্দিক আহমেদের ছেলে। ৩১ জেলে খুনসহ ২১ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন মোরশেদ। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বিভিন্ন থানায় অর্ধশতাধিক জিডি আছে বলে র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আরডি/একেএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন