বিজ্ঞাপন

‘আমার বাবা সৎ, ব্যক্তিত্ববান ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী’

January 26, 2020 | 5:00 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আমার বাবা আমাকে ছাড়া আর কাউকে আমার মতো ভালোবাসে না। তিনি যেরকম আমার বাবা, সেরকম একজন নগরপিতাও। আমার বাবা সৎ, ব্যক্তিত্ববান ও জবাবদিহিতায় বিশ্বাসী একজন মানুষ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের হোটেল লেকশোরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণার আগে বাবা সম্পর্কে এভাবেই কথা বলছিলেন বুশরা আফরিন।

বুশরা আফরিন বলেন, ‘মানুষের সঙ্গে মেশার অসম্ভব ক্ষমতা আছে আমার বাবার। কোনো কাজই তার কাছে অসম্ভব না। দেখা যায় তিনি কখনও লুঙ্গি-গেঞ্জি পরে গান গেয়ে পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলা করেন; আবার কখনও বাচ্চাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেন। বাবা আসলে এমনই। তিনি এসব কাজে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তিনি সৎ, পরিশ্রমী, মেধাবী এবং ব্যক্তিত্ববান।’

বুশরা বলেন, ‘বাবার কাছে সবসময় তার কাজই আগে। একজন নগরপিতা হিসেবেও যে নয় মাস তিনি কাজ করেছেন সেই সময়েও তিনি ভালোবেসেছেন এই শহরকে, এই শহরের মানুষদের।’

বিজ্ঞাপন

কিছুটা আবেগাক্রান্ত হয়ে বুশরা বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বিয়ে হলো। তার আগে ঘরোয়াভাবেই হলুদের আয়োজন ছিল। ছোট একটা আকদ হয়েছিল। সেখানেও আমার বাবা এলেন অল্প সময়ের জন্য, আবার চলে গেলেন নিজের কাজে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র হওয়ার পর এমনও দেখা গেছে, বাবার সঙ্গে অনেক দিন দেখাই হয়নি। তিনি শহরের কোনো না কোনো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। হঠাৎ দেখা হলে বলেছি, ‘বাবা কেমন আছো?’

বাবাকে অসীম ধৈর্য্যশীল একজন ব্যক্তি উল্লেখ করে বুশরা বলেন, ‘আমার বাবা যখন যে কাজই করেন তা তিনি সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সঙ্গে করেন। অসম্ভব ধৈর্যশক্তির অধিকারী তিনি। আমি যদি কখনও ভুল করলে তিনি আমাকে ভেঙে পড়তে দেননি। আমার ভুল শুধরিয়ে দিয়েছেন, আর আমি এগিয়ে গেছি।’

বিজ্ঞাপন

বাবা সম্পর্কে যখন কথাগুলো বলছিলেন চেয়ার থেকে উঠে এসে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খান আতিকুল ইসলাম। আদর করেন। নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশের আগে এ সময় সবাই আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠেন।

আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আতিকুল ইসলামকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান বুশরা আফরিন।

একমাত্র মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে এতোটা নীরবেই কেনো হয়ে গেল সেটা জানতে চাইলে আতিকুল ইসলামের পারিবারিক সূত্র জানায়, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ সবসময়েই এড়িয়ে যান আতিকুল ইসলাম। যেহেতু বিয়ের অনুষ্ঠানটি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করার পর পূর্বনির্ধারিত তারিখেই হয়েছে তাই আচরণবিধির বিষয়টি আমলে নিয়ে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীকেই বলা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন