বিজ্ঞাপন

বিডিএফে উন্নয়ন সহযোগীদের কার্যকর অংশীদারিত্ব চাইবে বাংলাদেশ

January 27, 2020 | 6:12 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: টেকসই উন্নয়নের জন্য সরকার দেশে কর্মরত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর কাছ থেকে কার্যকর অংশীদারিত্ব প্রত্যাশা করছে। একইসঙ্গে উন্নয়ন সংস্থাগুলোকেও জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে চায় সরকার। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ফোরামের (বিডিএফ) বৈঠকে এ বিষয়গুলো প্রাধান্য দেওয়া হবে। আগামী বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ও বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) এ বৈঠকের আয়োজন করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এবারের বৈঠকটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ইআরডির সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিডিএফের বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এবারের বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ফোরামের মূল স্লোগান ‘ইফেকটিভ পার্টনারশিপ ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’। এই ফোরামে জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনিচি ইয়ামাদা, বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শেফার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ভাইস (এডিবি) প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেনসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা অংশ নেবেন। এছাড়া ৩০ থেকে ৪০টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ জানান, এবারের বৈঠকে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে জবাবদিহিতা চাওয়া হবে। কেননা তারা প্রতিবছর ৩০ থেকে ৩৫ কোটি ডলার এ দেশে ব্যয় করেন সরকারকে না জানিয়ে। তারা বলে থাকেন, এনজিও ব্যুরোকে জানিয়ে তারা বরাদ্দ করা অর্থ খরচ করেন। কিন্তু এ বিষয়টি সরকারকেও জানানো উচিত। এসব বিষয় নিয়ে কথা হবে। উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে শর্তহীন চুক্তিতে ‘মিউচ্যুয়ালি’ কাজ করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিডিএফ বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আলোচ্যসূচিতে থাকছে কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে ইআরডি সচিব বলেন, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মিয়ানমার আমাদের সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছে। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে একটি রায় হয়েছে। রোহিঙ্গা আমাদের উন্নয়নের জন্য একটি চ্যালেঞ্জও বটে। তারপরও এবারের বিডিএফ-এ এই ইস্যু রাখার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করা হয়েছে।

এবারের বিডিএফ বৈঠকে আটটি কর্ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হচ্ছে— প্রাইভেট সেক্টর এংগেজমেন্ট অ্যান্ড ট্রেড ফ্যাসিলেটেশন, পার্টনারশিপ ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড ইজ অব ফিনানসিং, ইনোভেটিভ ফিন্যানসিং ফর আ সেলফ-রিলায়েন্ট বাংলাদেশ, রুরাল ট্রান্সফরমেশন: ক্রিয়েটিং অপাচুনিটিজ ফর অল, হেলথ সার্ভিসেস: ইনক্লুসিভ ডেলিভারি অপশন, অ্যানার্জি সিকিউরিটি ফর সাসটেইনেবল গ্রোথ, সাসটেইনেবল সিটিজ: সার্ভিসেস অ্যান্ড প্রটেকশন ফর দ্য ভালনারেবল, এবং কোয়ালিটি এডুকেশন ফর অল: প্রিপারেরিং ফর ফোরথ ইনডাসট্রিয়াল রেভ্যুলেশন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০২০ এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে। এরই পরিপেক্ষিতে ডেভেলপমেন্ট ফোরামে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার একটি ক্ষেত্র তৈরি হবে। একইসঙ্গে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার রূপরেখা ও এসডিজি অর্জনে সরকারের পদক্ষেপগুলো উন্নয়ন সহযোগী তথা সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছে তুলে ধরা হবে।

বিজ্ঞাপন

এক প্রশ্নের জবাবে মনোয়ার জানান, আগে প্যারিস কনসোর্টিয়াম নামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতো। পরে প্যারিস ডিক্লারেশন অনুযায়ী ‘লিডার অ্যান্ড ওনারশিপ’ এবং এরপর ‘লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপ’ ও ‘পিআরএসপি ফোরাম’ হয়ে ২০১০ সালে গঠন করা হয় বিডিএফ। এতদিন বিডিএফের ফল মনিটরিং করা না হলেও এবারের বৈঠক থেকে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানান তিনি।

সারাবাংলা/জেজে/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন