বিজ্ঞাপন

বিএনপি আচরণবিধি মানলেও আওয়ামী লীগ মানছে না: আমির খসরু

January 27, 2020 | 6:46 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি সব আচরণবিধি মানলেও আওয়ামী লীগ সব বিধিই ভাঙছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ৩টায় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকে প্রথম যে বিষয়টি উঠে এসেছে সেটা হলো লেভেল প্লেইং ফিল্ড, সেটি হতে হলে সবার সমান সুযোগ থাকার দরকার। সেখানেই সমস্যা হচ্ছে। আমরা বলেছি সরকারি দল আচরণবিধি ভাঙছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এমপি-মন্ত্রীরা প্রথম থেকেই প্রচারে যাচ্ছে, এটি পরিষ্কার। বিধি অনুযায়ী ফুটপাতের ওপর অফিস করা যাবে না, কিন্তু ঢাকায় একশ-এর বেশি জায়গায় ফুটপাতের ওপর আওয়ামী লীগ অফিস করেছে, সবার সামনেই এটি হচ্ছে, এখানে বিরোধের সুযোগ নেই। আমরা বলেছি এসব অফিস ভেঙে ফেলা উচিত। তারপরও আবার করলে শোকজ করতে হবে, তারপরও আবার করলে প্রার্থীতা বাতিল হওয়া উচিত, কিন্তু তা হচ্ছে না। উল্টো অনেক ক্ষেত্রে ফুটপাত অতিক্রম করে রাস্তায়ও অফিস চলে আছে।’

বিজ্ঞাপন

আমির খসরু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওভার সাইজ পোস্টার টাঙানো হচ্ছে, এমন পোস্টার বিএনপির একটিও নেই। আমরা আচরণবিধি মেনে চলছি। এভাবে নির্বাচন পর্যন্ত চললে লেভেল প্লেইং ফিল্ড হতে পারে না। তারা মাইক ব্যবহারের বিধিও মানছে না। না মানার যে প্রবৃত্তি চলছে, তা থেকে তারা বেড়িয়ে আসবে সেটি ভাবার কারণ নেই।’

এ বিষয়ে ইসি কি বলেছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের বলেছে ২৪ ঘণ্টার মধ্য সব ফুটপাতের অফিস ভাঙা হবে। ওভার সাইজ পোস্টার যেগুলো টাঙানো হয়েছে, সবগুলো তারা নামাবে এবং নিয়ম না মানলে সেসব মাইক অপসারণ করা হবে।’

নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সার্ক হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামের যে সংগঠন, তাদের কানাডিয়ান একজন নারী দেশে এক কথা বললেও বাইরে আরেক কথা বলেন। তিনি দুটি সংগঠনে আছে, যার মালিক আওয়ামী লীগ। পর্যবেক্ষক সংস্থার ২২টার মধ্যে ১৮টির কোনো ওয়েবসাইট নেই, তাদের ম্যান পাওয়ার নেই। সব দলীয় লোকজন সেখানে। তারা নির্বাচনের দিন পর্যন্ত বলবে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে। আর যেখানে দেশের পর্যবেক্ষকরাই পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন না সেখানে বিদেশিরা কি করতে পারবেন?’

বিজ্ঞাপন

ইভিএম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ইভিএম শঙ্কা তৈরি করবে, কিন্তু এসব পর্যবেক্ষকরা সেসব স্বাগত জানাবে। মাঠে কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের মোবাইল টিম নেই। বিএনপি প্রার্থীর ওপর আক্রমণ হচ্ছে, তাদের সিকিউরিটি নেই। তাদের গায়ে হাত তুলছে সেখানে কোনো সমাধান হচ্ছে না। ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে মাঠের কোনো সম্পর্ক নেই।’

ইশরাকের প্রচারণায় আওয়ামী লীগের সংঘর্ষের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে যে রাজনীতি চলছে, সেখানে বিএনপি আলীগকে আক্রমণ করেছে এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ আছে? গতকাল বিএনপি কর্মীদের পেটানোর পর আওয়ামী লীগ আবার উল্টো মামলা করেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান মিয়া, চেয়ারপারসেনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আব্দুস সালাম, বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

ইসির পক্ষ থেকে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি কে এম নূরুল হুদা, নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম ও কবিতা খানম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন